Home বিনোদন বাংলার শাড়ি নজর কেড়েছিল অঙ্কিতা লোখান্ডের, কিন্তু কেন?

বাংলার শাড়ি নজর কেড়েছিল অঙ্কিতা লোখান্ডের, কিন্তু কেন?

একতা কাপুরের হাত ধরে ২০০৯ সালে ‘পবিত্র রিস্তা’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত এবং অঙ্কিতা লোখান্ডে।

এই সিরিয়ালে অভিনয়ের সূত্রেই মানব আর অর্চনার মতোই অঙ্কিতা আর সুশান্তের মধ্যেও তৈরি হয়েছিল এক বিশেষ ‘পবিত্র রিস্তা’ অর্থাৎ বাস্তবিক প্রেমের সম্পর্ক। সেই রসায়নই ছিল এই সিরিয়ালের মূল ইউএসপি। তাই সিরিয়াল শেষ হওয়ার পরেও বর্তমানে দর্শকমনে সমান জনপ্রিয় মানব অর্চনা জুটি।

বহুদিন পর তিনি নিজের আলমারি গোছাতে গিয়ে খুঁজে পেলেন ‘পবিত্র রিস্তা’য় পরা শাড়ি। একটার পর একটা শাড়ি গায়ে জড়িয়ে, কখনও আবার বুমেরাং ভিডিও বানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন  তিনি। নিজেই লেখেন, ‘নস্টালজিক হয়ে পড়ছি।‘

ছবি দেখে বোঝাই যাচ্ছে শাড়িগুলো তাঁর পুরনো স্মৃতি উস্কে দিয়েছে। তবে এই সিরিয়ালে অঙ্কিতা যে শাড়িগুলি পড়েছিলেন। সেই শাড়িগুলির সাথে রয়েছে বাংলার যোগ।

কপিল শর্মার শো-তে এসে অঙ্কিতা জানিয়েছেন, প্রায় ৩৬০টা শাড়ি তাও আবার কটনের নিজেই কিনেছিলেন তিনি। বললেন, ‘সেই শাড়িগুলো আমি সব নিজের পয়সায় কিনেছি। আমার ওগুলো তো কটনের শাড়ি হত। আমি সব শাড়ি বাংলা থেকে আনতাম। ওখানের কটনের শাড়ি খুব ভাল। ওখান থেকেই কিনতাম’।

অঙ্কিতা যে একজন আদ্যন্ত শাড়ি-প্রেমী মানুষ সেটা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার ছবি দেখলেই বোঝা যায়।

নেটিজেনদের অনেকেরই মনে হয়েছে, অঙ্কিতার হয়ত সুশান্তের কথা মনে পড়ছিল বলেই তিনি শাড়িগুলো বের করে পড়েছেন। সুশান্ত সিং রাজপুত মারা যাওয়ার পর অঙ্কিতা, সুশান্তের খুব কাছের এক বন্ধু লিখে জানিয়েছিলেন, ’সুশান্তকে অঙ্কিতার থেকে ভালো কেউ বাসে না।‘

অঙ্কিতার অসাধারণ নাচের ক্ষমতার সঙ্গে তিনি একজন ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়ন। অথচ তার সেই নেশাকে দূরে সরিয়ে রেখে তিনি অভিনয়ের হাতছানিতে পা বাড়িয়ে ছিলেন। অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের পৃষ্ঠপোষক অঙ্কিতা লোখান্ডের সব থেকে পছন্দের রং সাদা ঠিক সেই কারণেই হয়তো এই ধারাবাহিকে অনেক সময় তাকে দারুন সুন্দর কাজ করা সাদা পোশাকে দেখা যেত।

বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version