বলিউডে প্রায় ২৬ বছর কাটিয়ে ফেললেন চলচ্চিত্র নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বনশালী। ১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া বিখ্যাত ছবি ‘খামোশি: মিউজিক্যাল’ দিয়ে বলিউডে তাঁর যাত্রা শুরু। এরপর একে একে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’, ‘দেবদাস’, ‘ব্ল্যাক’, ‘গোলিয়ো কি রসলীলা রাম-লীলা’, ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘পদ্মাবৎ’-এর মতো ছবি তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর বেশিরভাগ ছবিই বক্স অফিসে সাফল্য পেয়েছে। তাঁর একাধিক ছবি নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সঞ্জয় বলেছেন, ‘এই যাত্রা অবিশ্বাস্য। যাত্রাপথে বহু প্রতিবন্ধকতা ছিল কিন্তু সবকিছুই আমার ভাল লেগেছে। আমার কাজের জন্য দর্শকদের কাছ থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছি। তবে আমার মনে হয়, যে ৯টি ছবি করেছি, তার কোনওটিই দলের সবার সাহায্য ছাড়া সম্ভব হত না। টেকনিশিয়ান থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রত্যেকেই আমাকে সাহায্য করেছেন। তাঁরাই আমার ভাবনা পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন।’
শুধু ছবি পরিচালনাই না, গত কয়েক বছরে নিজের ছবির সঙ্গীত পরিচালনাও করেছেন সঞ্জয়। ‘বাজিরাও মস্তানি’-র সঙ্গীত পরিচালনার জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।
‘গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি’র পর আসছে ‘বৈজু বাওরা’। যে ছবির জন্য তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে সময় দিয়েছেন।
মুঘল আমলের সঙ্গীত কিংবদন্তি বৈজু বাওরা-র বায়োপিক তৈরি করবেন বনশালী। এই ছবিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে আলিয়া ভাটকে।
তানসেন তখনও মধ্য গগনে। ‘বৈজু বাওরা’ বা বৈজনাথ মিশ্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীত দুনিয়ায় সবে উঠছেন। ধীরে ধীরে মুঘল আমলের সম্পদ হয়ে ওঠেন। মান সিং তোমরের সভা গায়কের পদ অলঙ্কৃত করেন। একবার এক প্রতিযোগিতায় দুই প্রতিভা মুখোমুখি। জনশ্রুতি, বৈজু বাওরা দু’টি রাগসঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। একটি ‘মৃগরঞ্জিনী’। যার সুর হরিণকে সম্মোহন করতে পারে। অন্যটি, মালকোষ। যা পাথর গলিয়ে দেয়। বৈজুর কাছে সেই দিন পরাজিত হয়েছিলেন তানসেন।
পরিচালক না কি ছবিটির জন্য কোমর বেঁধে নেমেছেন। চিত্রনাট্য ঘষামাজা হচ্ছে। সেট তৈরির কাজও চলছে গোপনে। রণবীর সিং ও আলিয়া ভাট না কি এই ছবির জন্য নিজেদেরকে উজাড় করে দিচ্ছেন। ছবি কবে মুক্তি পাবে সেই বিষয়ে পরিচালক এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
ছবি- ইন্সটাগ্রাম
বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন