কলকাতা: শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে হঠাৎই ভর্তি করানো হয় মিঠুন চক্রবর্তীকে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন অভিনেতা অভিনেতা এবং বিজেপি নেতা। চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাভাবিক কথাও বলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, অভিনেতার অবস্থা স্থিতিশীল। অভিনেতার শরীরে ডানদিকটা খানিক দুর্বল হয়ে গিয়েছে। হাত নাড়াতে কষ্ট হচ্ছে। অস্বস্তিও রয়েছে। তবে এখন তিনি পুরোপুরি সজ্ঞানে। শারীরিক অবস্থাও আগের থেকে ভালো। প্রয়োজন অনুযায়ী হালকা খাবারও দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
হাসপাতালের তরফে শনিবার সন্ধেবেলা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ব্রেনস্ট্রোকেই আক্রান্ত হয়েছেন ৭৩ বছরের এই অভিনেতা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম Ischemic Cerebrovascular Accident বা ইস্কিমিক স্ট্রোক।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিনেতার জন্য একটি বিশিষ্ট চিকিৎসকের টিম তৈরি করা হয়েছে। যেখানে একজন নিউরো চিকিৎসক, কার্ডিওলজিস্ট এবং গ্যাস্ট্রো এন্ট্রোলজিস্টও রয়েছেন। প্রতি মুহূর্তে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে।
দুপুরে মিঠুনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উদ্বেগ দেখে দেয় ভক্তমহলে। প্রথমে জানা যায়, শুটিং চলাকালীন স্ট্রোক হয় তাঁর। তবে কিছুক্ষণ পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানান সুস্থই রয়েছেন অভিনেতা। মিঠুনের বড় ছেলে মিমো মুম্বই থেকে বলেন, “বাবা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তাঁর রুটিন চেক-আপ হচ্ছে। সুগার লেভেল পরীক্ষা করানোর জন্যই বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপনারা যে বাবাকে নিয়ে এত চিন্তিত, তা দেখে ভাল লাগল। ধন্যবাদ।” যদিও হাসপাতালে বয়ান বলছে ব্রেনস্ট্রোকই হয়েছে তাঁর। শেষমেশ মিঠুনের সুস্থতার কথা জানতে পেরে স্বস্তি পেলেন সকলেই।
আরও পড়ুন: ‘উত্তপ্ত’ সন্দেশখালিতে জারি ১৪৪ ধারা, থমথমে এলাকা