মানুষের মতোই পাখিদেরও নিজস্ব সমাজ, আদবকায়দা আছে। পাখিরাও মানুষের মতোই তাদের অভিভাবকদের দেখাশোনা করে। মানুষের ক্ষেত্রে ছেলেমেয়েরা সাবালক হলে, আশা করা হয় তারা বাবা-মায়ের সহায় হবে, দেখাশোনা করবে, বয়সকালে পাশে দাঁড়াবে। তেমনই পাখিদের ক্ষেত্রেও। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ছেলে-পাখিদের তুলনায় মেয়ে-পাখিরা বাবা-মায়ের পাশে থাকে বেশি। তারা পরিবার নিয়ে থাকতে পছন্দ করে।
ইউনিভার্সিটি অফ এগজেটারের সেন্টার ফর ইকোলজি অ্যান্ড কনজারভেশনের একদল গবেষক আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে থাকা হোয়াইট ব্রাওড স্প্যারো নামে এক প্রজাতির চড়াই পাখির ওপর দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা চালান। এই প্রজাতির পাখি একসঙ্গে পরিবারের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে থাকতে পছন্দ করে। ছেলে-পাখির তুলনায় মেয়ে-পাখিরা অনেক বেশি পরিমাণে বাবা-মায়ের সঙ্গে সময় কাটায়। মেয়ে-পাখিরা বাসায় থেকে শাবকদের লালনপালন করে। মেয়ে-পাখিরা নানা কাজকর্ম করে। বাসা বাঁধার কাজ করে। অন্য দিকে ছেলে-পাখিরা কম সময় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। তার পর তারা উড়ে যায়। তারা নতুন জায়গা খুঁজতে বেশি ব্যস্ত থাকে। বংশবৃদ্ধিতে মন দেয়।
প্রধান গবেষক অ্যান্ড্রু ইয়ং মনে করেন, মেয়ে-চড়াইরা মনে করে বেশি সময় ধরে বাবা-মায়ের পাশে থাকলে তারাও ভবিষ্যতে তাদের সন্তানদের পাশে পাবে। গবেষণা চালাতে সাহায্য করেছে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিল ও ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ কাউন্সিল।