কথায় বলে হিমালয় বা পাহাড়ে গেলে পরিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। বিশুদ্ধ বাতাস ঢোকে শরীরে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্ট কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। খাস কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের তরফে এই গবেষণা রিপোর্টের কথা প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষণা চালায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনস্থ স্বশাসিত সংস্থা বোস ইনস্টিটিউট। গবেষণায় দেখা গেছে, হিমালয় অঞ্চলে ভেসে বেড়ানো মেঘ, বৃষ্টির জলে প্রচুর পরিমাণে ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর হেভি মেটাল বা ভারী ধাতু রয়েছে। পশ্চিমঘাট পর্বতমালা ও পূর্ব হিমালয় অঞ্চলে ভেসে বেড়ানো মেঘে বিষাক্ত ধাতু রয়েছে। বোস ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর সনৎকুমার দাসের নেতৃত্বে অ্যাটমোস্ফেরিক রিসার্চ দল গবেষণা চালায়। তাঁরা বিভিন্ন স্ট্যাটিসটিক্যাল মডেল ব্যবহার করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের বাতাস, মেঘ স্বাভাবিক দূষণের মাত্রার চেয়ে দেড় গুণ বেশি দূষিত। ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম, তামা, দস্তার মতো ভারী ধাতু রয়েছে বাতাসে। বায়ুদূষণ ও কলকারখানার দূষণের কারণে এসব ভারী ধাতু মিশেছে বাতাসে। এর ফলে ক্যানসার ও বিভিন্ন রকমের ক্ষতিকর রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৩০% বেশি। Environmental Advances নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে গঙ্গার জলের অর্ধেকেরও বেশি উবে যায়! আইআইটি রূড়কির গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য