গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে গভীর সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে মহিলারা। সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে মহিলারা বেশি পরিমাণে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। তা কিছু ক্ষেত্রে ক্যানসার প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। পশ্চিম এশিয়া ও উত্তর আফ্রিকার মহিলাদের ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, বাকি পৃথিবীর তুলনায় এই অঞ্চলে গত ৩ দশকে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে। গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে journal Frontiers in Public Health নামক জার্নালে।
মিশরের রাজধানী কায়রোর দ্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা ১৯৯৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গবেষণা চালান। গবেষকরা দেখেন, তাপমাত্রা বাড়ার ফলে কম সংখ্যায় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভাবে বেড়েছে স্তন, জরায়ু, ইউটেরাইন বা মুত্রনালী ও কার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মহিলাদের মৃত্যুর খবর।
গবেষকরা দেখেন, গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার ফলে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১৭৩-২৮০ জন মহিলা ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। সবচেয়ে বেশি পরিমাণে জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সবচেয়ে কম স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন। গড়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার ফলে প্রতি লাখ মানুষের মধ্যে ১৭১-৩৩২ জন ক্যানসারে আক্রান্তর মৃত্যু হচ্ছে। জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সবচেয়ে বেশি। সবচেয়ে কম সংখ্যায় মৃত্যু হচ্ছে কার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে। কায়রোর দ্য আমেরিকান ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক ওয়াফা আবুয়েলখেইর জানান, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে মহিলাদের মধ্যে জরায়ু ও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
ডিগ্রি অনুযায়ী গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির মাত্রা হয়ত কম কিন্তু তার প্রভাব জনস্বাস্থ্যর ওপর পড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য ও জলের সুরক্ষার সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। বাতাসের মান কম হচ্ছে। এসবের মিলিত যোগফলের প্রভাব পড়ছে সার্বিক ভাবে মহিলাদের স্বাস্থ্যর ওপরে।