আজকাল অনেক মহিলাই সাংবাদিকতা, পুলিশ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্র, পরিবহণ সংস্থা হোক কিংবা কর্পোরেট জগতে কর্মরত। অনেককেই পুরুষ সহকর্মীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাইট শিফটে কাজ করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে একটানা নাইট শিফটে কাজ করা মহিলাদের মধ্যে মাঝারি বা বিপজ্জনক পরিমাণে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। দিনের বেলার চেয়ে রাতে কাজ করা মহিলাদের মধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৪১ জন মহিলার ওপর গবেষণা চালানো হয়। ERJ Open Research নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা রিপোর্ট।
তবে গবেষণা রিপোর্টে নাইট শিফটে কাজ করা পুরুষদের মধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার কোনো তারতম্য মেলেনি। গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে পুরুষরা দিনের বেলা নাকি রাতে কাজ করেন তার ওপর অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয় নির্ভর করে না। কিন্তু মহিলাদের স্বাস্থ্যর ক্ষেত্রে বিষয়টা তা নয়।
ব্রিটেনের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রবার্ট মেডস্টোন দাবি করেন, দিনের বেলার চেয়ে রাতে নাইট শিফটে কাজ করা মহিলারা ৫০% বেশি অ্যাজমায় আক্রান্ত হন। পুরুষদের তুলনায় মহিলারা
শুধু অ্যাজমায় বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হন না তাঁদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি ও অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হারও বেশি। এবারই প্রথম শিফটের কাজ আর কর্মচারীদের অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়া নিয়ে গবেষণা চালানো হল। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যে সব মহিলা কর্মচারী একটানা নাইট শিফটে কাজ করেন তাঁদের মধ্যে অ্যাজমায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।