ব্রিটেনের বার্মিংহাম সেন্টার ফর হিউম্যান ব্রেন হেলথ সম্প্রতি একটি গবেষণা চালিয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ঘুম কম হলে, দুঃস্বপ্ন দেখলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে। বাড়ে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগের আশঙ্কা।
ঘুম শুধু শরীর নয়, মনের স্বাস্থ্যর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম স্মৃতিশক্তি, মনঃসংযোগ বাড়ায় পাশাপাশি ডায়াবেটিস ও হার্টের অসুখের মতো ক্রনিক রোগের আশঙ্কা কমায়। স্বাভাবিক ভাবে কমপক্ষে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম হওয়া জরুরি।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, নিয়মিত বাজে দুঃস্বপ্ন দেখলে বাড়ে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগের আশঙ্কা। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ঝুঁকি আরও বাড়ে। ৯ বছর ধরে ৩৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সি ৬০০ ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালানো হয়। এদিকে ৭৯ বছর বা তার বেশি বয়সি ২৬০০ ব্যক্তির ওপর গবেষণা চালানো হয় পৃথকভাবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, গবেষণার শুরুতে কাররওই স্মৃতিভ্রংশ রোগ ছিল না। তাঁদের কিছু প্রশ্ন করা হয়। কত নিয়মিত তাঁরা দুঃস্বপ্ন দেখেন তা জিজ্ঞেস করা হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, মধ্যবয়সি ব্যক্তি যারা সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন দুঃস্বপ্ন দেখেন তাঁদের স্মৃতিভ্রংশ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি। মহিলাদের তুলনায় বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। দ্য ল্যানসেট জার্নাল ইক্লিনিক্যালমেডিসিন’-এ (The Lancet Journal eClinicalMedicine) প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাত্র।
এদিকে, পৃথক আরেকটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সপ্তাহে অনিয়মিত ঘুম হলে মধ্যবয়সি ও বয়স্কদের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে কমপক্ষে ৩৪%। ৮৪ হাজার মানুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় বলা হয়েছে, অনিয়মিত ঘুম হলে শরীরের অভ্যন্তরীণ সারকাডিয়ান রিদম বা ঘড়ির বিঘ্ন ঘটে। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে ‘ডায়াবেটিস কেয়ার’ (Diabetes Care) জার্নালে।
আরও পড়ুন
দীর্ঘ সময় ধরে বসে বসে একটানা কাজ, পিঠের ব্যথায় কাতর? কী খাবেন, কী বলছে গবেষণা