আজকাল বেশির ভাগ মানুষ একটানা বসে বসে এসির ঠান্ডা ঘরে কাজ করে। কাজের ব্যস্ততা এতটাই থাকে যে অনেকে ঠিকমতো উঠে দাঁড়িয়ে চলাফেরা করার সময়টুকুও পান না। ফল হয়, তীব্র পিঠের যন্ত্রণা। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, পিঠের যন্ত্রণা কমাতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন সুপারফুড অ্যাভোকাডো।
ডাক্তারদের মতে, পুষ্টিকর অ্যাভোকাডোতে এমন সব খনিজ পদার্থ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও ভিটামিন আছে যা ফোলা ভাব ও পিঠের যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা পেশির সংকোচন কমায়। স্নায়ুর সিগনালকে নিয়ন্ত্রণ করে।
এ ছাড়াও অ্যাভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট যা কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। ফোলা ভাব ও যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। পেশি ফুলে যাওয়া আটকায়। কারণ, এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি গুণ।
এককথায় বলা যায়, অ্যাভোকাডো (Avocado) হল এক ভার্সেটাইল ফল। এতে ৭৩% জল রয়েছে ফলে শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে। ফাইবার, স্বাস্থ্যকর মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট আছে বলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কার্বোহাইড্রেট আছে বলে এনার্জি পাওয়া যায়। পটাশিয়াম পাওয়া যায় বলে রক্তের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আর ফ্যাট আছে বলে অ্যাভোকাডো খেলে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
চিনুন অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো ফলটি ভারতবর্ষে খুব একটা পরিচিত নয়। এটি নাসপাতি জাতীয় ফল। ফলের গা-টি অমসৃণ হওয়ায় একে অনেক সময়ে কুমির নাসপাতিও বলা হয়। এই ফল প্রধানত পূর্ব ও মধ্য মেক্সিকো থেকে গুয়াতেমালা অতিক্রম করে মধ্য আমেরিকায় সমুদ্র উপকূল বরাবর চাষ হয়। ভারতে এই ফলের চাষ তেমন জনপ্রিয় নয়। তাই বাজারে এই ফলের দাম কিছু বেশি।
তবে আমাদের দেশেও অ্যাভোকাডোর চাষ শুরু হয়েছে। এখন বিক্ষিপ্তভাবে তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র এবং সিকিমে এই ফলের চাষ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গেও পরীক্ষামূলকভাবে এর চাষ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
হার্ট ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তুলতে কোন মাছ খাবেন, কী বলছে গবেষণা