জনসংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই দ্রুত বিস্তৃত হচ্ছে নগরী। দ্রুত নগরোন্নয়নের হাত ধরে শহরের কাছাকাছি একের পর এক অত্যাধুনিক বিমানবন্দর গড়ে উঠছে। সেই সব বিমানবন্দরের ইমারত ও প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে যায়। বিমানবন্দরের কাছে বাড়ি হলে অনেকেই গর্বের সঙ্গে বলেন, ‘আমরা ওমুক বিমানবন্দরের কাছে থাকি’। কিন্তু জানেন কি, বিমানবন্দরের কাছে বাড়ি হলে অজান্তেই আপনি অনেক শারীরিক সমস্যা ডেকে আনছেন? সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
বিমানবন্দরে লাগাতার বিমান ওঠানামা করে, তার তীব্র আওয়াজ, চড়া আলোয় বিমানবন্দরের কাছে বাড়ির বাসিন্দাদের ঘুমের সমস্যা হয়। ঘুমের দফারফা হলে তার প্রভাব কার্ডিওভাস্কুলার স্বাস্থ্যর ওপর কী পড়ে তা নিয়ে গবেষণা চালানো হয়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একদল গবেষক এনিয়ে গবেষণা চালান। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি’র জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র।
ব্রিটেনের ব্যস্ত বিমানবন্দরগুলি যেমন, হিথরো, গ্যাটউইক, ম্যানচেস্টার, বার্মিংহামের কাছে বসবাসকারী ৩৬৩৫ জন বাসিন্দার ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা যায়, বিমানবন্দরে লাগাতার বিমান ওঠানামা করে, তার তীব্র আওয়াজ, চড়া আলোয় বিমানবন্দরের কাছে বাড়ির বাসিন্দাদের ঘুমের সমস্যা হয়। এতে হার্ট ফেলিয়র, অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দনের হার, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। অত্যাধুনিক হার্ট ইমেজিং স্ক্যান ব্যবহার করা হয়। হৃদপিণ্ডের দেওয়াল পাতলা হয়ে যায়, হার্টের পেশি শক্ত হয়ে যায়। তীব্র আওয়াজে মানসিক উদ্বেগ দেখা যায়। রক্তচাপ ও হৃৎস্পন্দনের হার ওঠানামা করে। লাগাতার ঘুমের সমস্যায় স্থুলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা যায়। বাসিন্দারা ক্লান্ত অনুভব করেন, ধৈর্য্য কমে, মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বাড়ছে ‘থান্ডারস্টর্ম অ্যাজমা’র দাপট! হঠাৎ আবহাওয়া বদলে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন বহু মানুষ