মৌ বসু
ফিটনেস বা সুস্বাস্থ্যের জন্য অনেকেই হাঁটাকেই বেছে নেন। লেটেস্ট ফিটনেস ট্রেন্ড হয়েছে ‘রেট্রো ওয়াকিং’। ‘রেট্রো ওয়াকিং’ বা পেছন দিকে হাঁটা। এবড়োখেবড়ো নয় এমন সোজা প্ল্যাটফর্মে হাঁটতে হবে ধীরে ধীরে। যে জুতো পরে আপনি স্বচ্ছন্দ বোধ করেন, তা-ই পরে হাঁটবেন।
পেছন দিকে হাঁটলে কী হয় জানেন
১) সাধারণ হাঁটার থেকে পেছন দিকে হাঁটার মতো লেটেস্ট ফিটনেস ট্রেন্ড অনুসরণ করলে দেখবেন বেশি ভালো করে বাড়তি মেদ ঝরবে। পেশি মজবুত হবে।
২) পেছনের দিকে হাঁটার সময় বেশি ধৈর্য্য লাগে তাই পেছন দিকে হাঁটলে মনঃসংযোগ ও ধৈর্য্য বাড়ে। শরীরে ভারসাম্য বাড়ে।
৩) সামনের দিকে হাঁটলে হাঁটুর ওপর বেশি চাপ পড়ে। কিন্তু পেছন দিকে হাঁটলে হাঁটুর ওপর কম চাপ পড়ে।
৪) কোমর ও পায়ের পেশি মজবুত এবং শক্ত হয় পেছন দিকে হাঁটলে।
৫) পেছন দিকে হাঁটলে মুড ভালো থাকে। শান্ত হয় মন। মানসিক উদ্বেগ ও অবসাদ দূর হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, পেছন দিকে হাঁটলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
৬) পেছন দিকে হাঁটলে হার্ট ও ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। পেছন দিকে হাঁটলে বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। তাই হার্ট ও ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ে। পিঠের নীচের দিকের পেশি মজবুত হয়।
৭) পেশির স্টিফনেস বা শক্ত হয়ে থাকা দূর হয়।
পেছন দিকে হাঁটার সময় কোন কোন বিষয় নজর দেবেন
১) প্রথমেই বাইরে নয় ঘরের মধ্যে পেছন দিকে হাঁটুন।
২) পেছন দিকে হাঁটার আগে প্রথমে ৫ মিনিট সামনের দিকে হাঁটুন। এর পর ৫ মিনিট পেছন দিকে হাঁটুন। নিয়মিত এই রুটিন মেনে চলুন।
৩) ঘরের মধ্যে ট্রেডমিল থাকলে তা ব্যবহার করুন। হ্যান্ডরেল ধরে থাকবেন। কম গতিতে চালান ট্রেডমিল।
রোজ এক কিলোমিটার হাঁটলে কী হয়
হাঁটা হল লো ইমপ্যাক্ট অ্যারোবিক কসরত। গড়ে একজন মানুষের ওজন ৭০ কেজি। গড়ে ঘণ্টায় ৫ কিমি গতিতে রোজ এক কিলোমিটার হাঁটলে ৫৫-৬৫ ক্যালোরি মেদ ঝরে। হার্ট ভালো থাকে নিয়মিত হাঁটলে। রোজ কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটলেই রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। নিয়মিত হাঁটলে জয়েন্টের পেশি এবং হাড় মজবুত হয়।
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাঁটলে মানসিক উদ্বেগ কমে। কারণ, মুড ভালো করা ফিল গুড হরমোন এন্ডোরফিন নিঃসরণ হয় হাঁটলে। রোজ ৪ কিলোমিটার হাঁটলে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। অ্যালঝাইমার্স ও ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
আরও পড়ুন
দীর্ঘ সময় ধরে কেমোথেরাপির সিসপ্লাটিন ওষুধ কী সমস্যা সৃষ্টি করছে ক্যানসার রোগীদের শরীরে