Home শরীরস্বাস্থ্য সারাক্ষণ স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করছেন? মস্তিষ্কের কী ক্ষতি ডেকে আনছেন জানেন

সারাক্ষণ স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করছেন? মস্তিষ্কের কী ক্ষতি ডেকে আনছেন জানেন

0

আজকাল আমাদের প্রায় সবারই জীবন গ্যাজেটনির্ভর। বলা ভালো, স্মার্টফোনশোভিত। কিন্তু আজকালকার ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যর ক্ষেত্রে কতটা ভালো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজির গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কের হোয়াইট ও গ্রে ম্যাটারে পরিবর্তন আনে। প্রযুক্তির জগতে ডিজিটাল ডিমেনশিয়া এক সমস্যা হয়ে উঠেছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তি যেমন অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়ে এসেছে তেমনই সমস্যাও ডেকে আনছে। মস্তিষ্কের হোয়াইট ও গ্রে ম্যাটারের পরিবর্তন মানসিক সমস্যা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বাড়িয়ে তুলছে। স্মৃতিশক্তি কমছে। শেখার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। যা পরে ডিমেনশিয়ার সমস্যা ডেকে আনছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, অতিরিক্ত সময় ধরে একটানা স্মার্টফোন ব্যবহার নিউরোটক্সিটি বাড়িয়ে তুলছে। যা পরে স্মৃতিভ্রংশ, অ্যালঝাইমার্স রোগ ডেকে আনছে।

বিভিন্ন গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে, অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন ব্যবহার, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম মানুষকে অলস করে তুলছে। কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ, স্থুলতার সমস্যা ডেকে আনছে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে ডেকে আনছে গুরুতর অসুখ।

শারীরিক কসরত করলে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে। রাতে বেশি পরিমাণে স্মার্টফোন ঘাঁটাঘাঁটি করলে শরীরের সিরকাডিয়ান রিদম বা শরীরের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা ঘেঁটে যায়। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়। বই পড়া, সমস্যার সমাধান, কথাবার্তা বলার মাধ্যমেই অ্যালঝাইমার্সের মতো কগনিটিভ ডিজিজ ঠেকানো সম্ভব। কিন্তু অলস ভাবে মোবাইলে ঘাঁটাঘাঁটি করলে মেন্টালি স্টিমিউলেটিং অ্যাক্টিভিটি কমে যায়। সামাজিক মেলামেশা কমে যায়। একাকিত্ব, মানসিক অবসাদ, উৎকণ্ঠা বাড়ে। ডিজিটাল ডিমেনশিয়ার সমস্যা দেখা দিচ্ছে বয়স্কদের মধ্যে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version