প্রতি চার জনের মধ্যে একজন কিশোর কিশোরী অ্যাটেনশন ডেফিসিট/হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার (এডিএইচডি) নামক মানসিক রোগে ভুগছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। আমেরিকার সব প্রদেশে একটি গবেষণা সমীক্ষা চালানো হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবে বেশির ভাগ কমবয়সী ছেলেমেয়ে মানসিক সমস্যা, মানসিক উদ্বেগ ও অস্থিরতায় ভুগছে। সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হল মাত্র ১৩% কমবয়সী ছেলেমেয়ে নিজেদের ভয়ের কথা মনোবিজ্ঞানীদের ঠিকমতো বলতে পেরেছে। বাকিরা বুঝতে পারছে না অথবা জানেই না কেন তারা উদ্বিগ্ন।
কী এই এডিএইচডি?
এডিএইচডি হল স্নায়ুঘটিত মানসিক সমস্যা যাতে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বিঘ্নিত হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির মনঃসংযোগ বিঘ্নিত হয়। এনার্জি লেভেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আবেগে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। ঠিকমতো কাজকর্ম করতে পারে না। সাধারণত শৈশবে এই রোগ হয়। সঠিক ভাবে চিহ্নিত না হলে বড়ো বয়সে সমস্যা দেখা যায়। ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানী জাস্টিন বার্টেরিয়ান জানান, মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা, অবসাদের সঙ্গে এডিএইচডির উপসর্গের মিল রয়েছে তবে চিকিৎসার পদ্ধতি আলাদা।
১৮-৪৪ বছরের মধ্যে ৪.৪% মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তবে অনেকেরই সঠিক সময় চিহ্নিত হয়নি রোগ। এই বিরল মানসিক রোগে আক্রান্তরা সাধারণত কাজের সময় মনঃসংযোগ রাখতে পারে না। ভুলে যায়। মন অতিরিক্ত চঞ্চল। অতিরিক্ত কথা বলে। অপেক্ষা করতে পারে না। একেবারে ধৈর্য নেই। অস্থিরতায় ভোগে।
লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণ ও সুস্থ থাকা
আচরণগত থেরাপি এবং ওষুধের পাশাপাশি, একটি সুস্থ জীবনযাপন ADHD-এর লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণকে করতে সহজ করে তুলতে পারে। তেমন কিছু স্বাস্থ্যকর আচরণ হলো:
১.স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা, যেমন প্রচুর ফল, শাকসবজি এবং সম্পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবার খাওয়া এবং চর্বিহীন প্রোটিন উত্সগুলি বেছে নেওয়া।
২. প্রতিদিন বয়স অনুযায়ী শারীরিক কার্যকলাপে অংশ নেওয়া।
৩. টিভি, কম্পিউটার, ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইসের প্রতিদিনের স্ক্রিন টাইম সীমিত করা।
৪. বয়স অনুযায়ী প্রতি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নিশ্চিত করা।