শনিবার নতুন করে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে মণিপুরে। এ দিন ভোরের দিকে জিরিবাম জেলার একটি গ্রামে জঙ্গিদের হামলার খবর পাওয়া যায়। একজন সরকারি আধিকারিক জানান, জঙ্গিরা আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করে বোরোবেকরা থানার আশপাশের একটি গ্রামে ভোর ৫টা নাগাদ গুলি চালায় এবং বোমা ছোড়ে।
ওই সরকারি আধিকারিক আরও জানান, সিআরপিএফ এবং পুলিশের সদস্যরা দ্রুত পাল্টা প্রতিরোধ করে। এর পরে উভয়পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনীকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। এখনও পর্যন্ত গুলির লড়াইয়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষ শুরু হতেই নিরাপত্তা বাহিনী প্রবীণ, নারী ও শিশুদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। বোরোবেকরা এলাকা জিরিবাম শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে। এটি ঘন জঙ্গল এবং পাহাড়ি এলাকার মধ্যে অবস্থিত।
গত বছর মে মাসে জাতিগত হিংসার ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে এই এলাকায় একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি, মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের বিধায়কদের মধ্যে শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার কয়েকদিন পরই এই হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।
ইম্ফল ইস্টে দুই জঙ্গি গ্রেফতার
ইম্ফল পূর্ব জেলার পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে মণিপুরের ইম্ফল ইস্ট জেলার পুরেইরোম্বা খংনাঙখং এলাকায় দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হলেন মুতুম ইনাও সিং এবং খোয়ারাকপাম রাজেন সিং। এঁরা নিষিদ্ধ কাংলাইপাক কমিউনিস্ট পার্টির (পিপলস ওয়ার গ্রুপ) সদস্য বলে জানা গিয়েছে।
মেইতেই-কুকি নেতাদের বৈঠক
গত ১৫ অক্টোবর, মণিপুরের মেইতেই, কুকি এবং নাগা সম্প্রদায়ের প্রায় ২০ জন বিধায়ক দিল্লিতে প্রথম বার বৈঠকে মিলিত হন। গত ১৭ মাসের জাতিগত হিংসার ঘটনা বন্ধে শান্তিপূর্ণ সমাধানের উদ্দেশ্যে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিধানসভার স্পিকার থোকচোম সত্যব্রত সিং, টংব্রাম রবিন্দ্র এবং মেইতেই পক্ষের বসন্তকুমার সিং। কুকি পক্ষের মন্ত্রী লেটপাও হাওকিপ এবং নেমচা কিপজেন ছাড়াও নাগা সম্প্রদায়ের বিধায়ক রাম মুয়িভাহ, আওয়াংবাও নিউমাই এবং এল দিখো উপস্থিত ছিলেন।