ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের শর্করার মাত্রা আচমকা বেড়ে যায়। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হল এক রকমের অটোইমিউন রোগ যেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাই উল্টে প্রাণঘাতী হয়ে দাঁড়ায়। আবার জটিল ও ভুল জীবনযাপন, জিনগত কারণ আর জটিল জৈবপ্রক্রিয়াই দায়ী টাইপ টু ডায়াবেটিসের জন্য। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ইনসুলিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হয় না অথবা শরীরের কোষ ইনসুলিন রেজিজট্যান্ট হয়ে পড়ে। ফলে আচমকা রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।
খাওয়ার পর রক্তে আচমকা শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন ও অ্যামিলিন হরমোন। প্যানক্রিয়াসের একই কোষ থেকে রিলিজ হয় ইনসুলিন ও অ্যামিলিন হরমোন। কিন্তু ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিনের বদলে বেশি পরিমাণে নিঃসরণ হয় অ্যামিলিন হরমোন। অ্যামিলিন হরমোন কোষের পক্ষে ক্ষতিকর ক্লাম্প তৈরি করে। আগের গবেষণায় দেখা গিয়েছিল ক্লাম্প কোষের বাইরের স্তরে ক্ষতি করে। পুষ্টি পৌঁছতে পারে না। শেষমেষ কোষের মৃত্যু ঘটে।
আইআইটি বোম্বের বায়োসায়েন্স ও বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক শমিক সেনের নেতৃত্বে একদল গবেষক গবেষণা চালান। অধ্যাপক শমিক সেন জানান, প্রতিটি টিস্যু কোষ, অ্যাসেলুলার উপাদান, একস্ট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স দিয়ে তৈরি। কোষকে ধরে রাখে একস্ট্রাসেলুলার ম্যাট্রিক্স। অঙ্গর গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডায়াবেটিস রোগীদের প্যানক্রিয়াসের টিস্যুতে ত্বক ও হাড়ের টিস্যুতে প্রচুর পরিমাণে যে কোলাজেন প্রোটিন থাকে তার পরিমাণ আরও বেশি বেড়ে যায়। যা অ্যামিলিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ায়। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না।
এই গবেষণা চালান আইআইটি বোম্বে ও কানপুর আর কলকাতার চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে জার্নাল অফ আমেরিকান কেমিক্যাল সোসাইটির জার্নালে।
আরও পড়ুন: ওজন কমাতে লেমনগ্রাস টি? এই ৪ ধরনের মানুষ খেলে বিপদ!