স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বড়োদের মতোই কমবয়সিরাও আজকাল বৈদ্যুতিক গ্যাজেটে বুঁদ হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে স্ক্রিনটাইম শেয়ার করায় কমবয়সিদের মধ্যে বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার, ইনসুলিন রেজিজট্যান্সের মতো কার্ডিওমেটাবলিক সমস্যা। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্টে এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে।
২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত ২-১৯ বছর বয়সি আমেরিকার অসংখ্য কমবয়সির ওপর গবেষণা চালানো হয়। মাত্র ২৯% কমবয়সির হার্ট সুস্থ। অন্যদিকে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন প্রসপেক্টিভ স্টাডিজ অন অ্যাজমা ইন চাইল্ডহুড ১০-১৮ বছর বয়সি এক হাজারের ওপর কমবয়সির ওপর গবেষণা চালায়। কতটা সময় টিভি দেখছে, গেম খেলছে তার ওপর রক্তের শর্করার, কোলেস্টেরল, রক্তচাপের ওপর কী প্রভাব পড়ছে তা খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। তাঁরা দেখেন রোজ এক ঘণ্টা বেশি স্ক্রিনটাইম হলে ১০-১৮ বছর বয়সিদের ০.০৪-০.১৩% হার্টের অসুখ করার ঝুঁকি বাড়ে।
আরও পড়ুন: ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কোন বাদাম খাবেন? জানুন কাঠবাদাম–আমন্ডের গুণ
শিশুদের ১২% বেশি ঘুমের সমস্যা দেখা গেছে। অন্যদিকে, জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ৯-১৩ বছর বয়সি নাবালকরা বেশি সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটাঘাঁটি করলে মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা যায়। ৯-১৩ বছর বয়সি ১২ হাজার নাবালকের ওপর গবেষণা চালানো হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিং ও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে কম ঘুম হওয়ার কারণে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আত্মহত্যা করার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে।
ছত্তিশগড়ের রায়পুরের এইমস হাসপাতালের গবেষণা রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে ৫ বছরের কমবয়সি শিশুরা প্রতিদিন গড়ে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার ঘাঁটাঘাঁটি করছে এমনকি টিভি দেখছে। ভারতে অনেক বাবা-মা সন্তান কাঁদছে দেখলে হাতে মোবাইল ধরিয়ে দিচ্ছে। এতে হিতে বিপরীত হচ্ছে। কথা বলার, ভাষা শিখতে দেরি হচ্ছে শিশুদের। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়, স্থুলতা, ঘুমের সমস্যা দেখা যায়।