Homeশরীরস্বাস্থ্যম্যারাথনে বাড়তে পারে কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি, তবে নিয়মিত দৌড়েই মিলবে সুরক্ষা— দাবি...

ম্যারাথনে বাড়তে পারে কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি, তবে নিয়মিত দৌড়েই মিলবে সুরক্ষা— দাবি গবেষণার

প্রকাশিত

দৌড়নোর অনেক স্বাস্থ্যকর দিক রয়েছে। দৌড়লে কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজ থেকে দূরে থাকা যায়। হার্ট এবং মস্তিষ্ক ভালো থাকে। শরীর ও মন মেজাজ তরতাজা থাকে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত দৌড়লে টাইপ টু ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের মতো ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। কিন্তু ম্যারাথন দৌড়ে কোলোন ক্যানসারের মতো গুরুতর অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গবেষণা রিপোর্টে। 

কী বলছে গবেষণা?

Inova Schar Cancer Institute এর একদল গবেষকদের করা সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, কমবয়সিদের মধ্যে ম্যারাথন দৌড়ের সঙ্গে কোলোন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। একাধিক ম্যারাথন ও আল্ট্রা ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেওয়া ১০০ জন দৌড়বিদের ওপর গবেষণা চালানো হয়। প্রত্যেকের বয়স ছিল ৩৫-৫০ বছরের মধ্যে। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৫% অ্যাডভান্স স্টেজের অ্যাডেমোমাস (কোলোনে হওয়া পলিপ যার থেকে কোলোন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে) তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ম্যারাথনের মতো দূরপাল্লার দীর্ঘ সময়ের দৌড়ে কোলোরেক্টাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। 

তবে সাধারণ দৌড়ে কোলোন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে বলে বিভিন্ন গবেষণা রিপোর্টে দেখা গেছে। দৌড়নোর মতো নিয়মিত শারীরিক কসরতে কোলোনে ক্যানসার সৃষ্টিকারী কোষ তৈরি হতে পারে না। দৌড়লে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ক্রনিক ইনফ্লেমেশন কমে। ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

দৌড়লে কোলোন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে দৌড়লে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। পেট পরিষ্কার হয়। শরীরে ফোলা ভাব দূর হয়। স্থুলতাজনিত ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। ইনসুলিন জাতীয় হরমোনের নিঃসরণে ভারসাম্য বজায় থাকে।

নিয়মিত দৌড়ানোর রয়েছে নানা উপকারিতা

নিয়মিত দৌড়ানোর আরও উপকারিতা

হাড় ও জয়েন্ট মজবুত করে  – দৌড় হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায় এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়। একই সঙ্গে জয়েন্টে রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে নড়াচড়া স্বাভাবিক রাখে।

মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে  – নিয়মিত দৌড় এন্ডরফিন নিঃসরণ ঘটায়, যাকে বলা হয় ‘রানার’স হাই’। এটি স্ট্রেস, ডিপ্রেশন ও উদ্বেগ কমায়।

ফুসফুস ও শ্বাসপ্রশ্বাস শক্তিশালী করে – দীর্ঘ সময় দৌড়ালে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে, অক্সিজেন গ্রহণের দক্ষতা উন্নত হয়। ফলে শ্বাসকষ্টের প্রবণতা কমে।

ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে – নিয়মিত দৌড় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ভাইরাল সংক্রমণ বা ছোটখাটো অসুখের ঝুঁকি কমায়।

আরও পড়ুন: ব্লু জোন: পৃথিবীর সেই রহস্যময় অঞ্চল যেখানে মানুষ সহজেই বাঁচেন শতবর্ষ

জলে ভেজানো আমন্ড বাদামের স্বাস্থ্যগুণ: মস্তিষ্ক, হৃদযন্ত্র ও ত্বকের জন্য কেন উপকারী?

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে থেকে ফেরানো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সুনালি খাতুন ও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র। গর্ভবতী সুনালি ও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে আলোড়ন।

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান...

বাংলায় শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সোমবারই ঘোষণা কমিশনের — ১ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে বিএলও

নির্বাচন কমিশন সোমবার ঘোষণা করবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দিনক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু। ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও।

অস্ত্র-সহ আলফা (স্বাধীন)-এর সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার আরপিজি ও বিপুল গোলাবারুদ

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আবার ধরা পড়ল আলফা (স্বাধীন) সংগঠনের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার।...

আরও পড়ুন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।

এক চিকিৎসকের আট বছরের লড়াইয়ে বড় জয়, ভুয়ো ওআরএস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল FSSAI, আসল চিনবেন কী করে?

হায়দরাবাদের শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবরঞ্জনী সন্তোষের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে বড় পদক্ষেপ নিল FSSAI। WHO-র নির্ধারিত মান না মেনে ‘ORS’ নামে বিক্রি হওয়া পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। শিশুদের জন্য বিপজ্জনক এই মিষ্টি পানীয় নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর আইনি লড়াই প্রায় এক দশক আগে।