সারা দেশে তরুণদের আকস্মিক হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিশেষ করে করোনার টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকে এই ধরনের মৃত্যুর হার বেড়েছে বলে অনেকের মধ্যে একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এদিন সেই জল্পনায় কার্যত ইতি টানল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক।
বুধবার (২ জুলাই) একটি সরকারি বিবৃতিতে মন্ত্রক জানিয়েছে, “আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ) এবং এইমস (AIIMS) দীর্ঘ গবেষণা চালিয়ে নিশ্চিতভাবে জানিয়েছে, করোনার টিকার সঙ্গে আকস্মিক মৃত্যুর কোনও যোগ নেই। ভারতে ব্যবহৃত কোভিড টিকাগুলি সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “হৃদরোগে আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হতে পারে বহু কিছু— জেনেটিক প্রবণতা, জীবনযাত্রার ধরন, পূর্ববর্তী রোগ এবং করোনার পরবর্তী জটিলতা। তাই টিকা নিয়ে ভয় বা সন্দেহের কোনও কারণ নেই।”
➡️ Extensive studies by #ICMR and #AIIMS on sudden deaths among adults post #COVID have conclusively established no linkage between COVID-19 vaccines and sudden deaths
— PIB India (@PIB_India) July 2, 2025
➡️ Lifestyle and Pre-Existing Conditions identified as key factors
➡️ The ICMR and NCDC have been working…
সরকারি তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, “যে সমস্ত বক্তব্য টিকা এবং আকস্মিক মৃত্যুর মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করছে, সেগুলি বৈজ্ঞানিক সত্যের সঙ্গে মেলে না। বরং এমন তথ্য বিভ্রান্তিকর এবং ভুয়ো।”
প্রসঙ্গত, মাত্র কয়েক দিন আগেই বলিউড অভিনেত্রী শেফালি জরিওয়ালার (৪২) আকস্মিক মৃত্যুর খবর দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছিল। মুম্বইয়ের বাড়িতে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। স্বামী পারাগ ত্যাগী তাঁকে দ্রুত অন্ধেরির বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে শেফালির মৃত্যুর কারণ হিসেবে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। ধারণা করা হচ্ছে, আচমকা রক্তচাপ কমে যাওয়ার ফলেই এই মৃত্যু। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ইঙ্গিত মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
২০২০ সালের পর থেকেই দেশে একের পর এক তরুণ-তরুণীর আকস্মিক হৃদরোগে মৃত্যুর ঘটনা জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। বহু ক্ষেত্রে সন্দেহের তীর ছিল করোনার টিকার দিকেই। কিন্তু এবার সরকারি স্তর থেকে স্পষ্ট বার্তা— টিকার সঙ্গে এসব ঘটনার কোনও বৈজ্ঞানিক সংযোগ নেই।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়ে প্রতি ঘণ্টায় ১০০ জনের মৃত্যু একাকীত্বে, হু-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট