Homeশরীরস্বাস্থ্যপান্তা ভাত কেন খাবেন? পান্তা ভাতের উপকারিতা কী? এই ৫ টি সুফল...

পান্তা ভাত কেন খাবেন? পান্তা ভাতের উপকারিতা কী? এই ৫ টি সুফল পেতে খেতে পারেন পান্তা ভাত

প্রকাশিত

কথায় আছে, ‘আমরা মাছে ভাতে বাঙালি।’ গরম গরম রান্না করা ভাত, মাছ, মাংস, সবজি দিয়ে একবেলা ভাত না খেতে পারলে  দিনটাই যেন সার্থক হয় না। সেই ভাতকে নানাভাবে খাওয়া হয়ে থাকে। এই পান্তা ভাতের রয়েছে নানারকম উপকারিতা।

পান্তা ভাত কী-

পান্তা ভাত মূলত বাসি খাবার। রাতে ভাত বেশি হয়ে গেলে তাতে জল ঢেলে রেখে দেওয়া হয়। সেটাই হবে পরের দিনের জলখাবার।

পুরোরাত এইভাবে থাকার ফলে ভাত গেঁজিয়ে ওঠে। সেটাই হয়ে ওঠে জিভে জল আনা পান্তা। এর সঙ্গে সরষের তেল মিশিয়ে আলু সেদ্ধ, আচার, কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়া হয়। পান্তা ভাত পেট ঠান্ডা রাখে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, বাংলাদেশ ওড়িশা এবং অসমেও পান্তা ভাত সমানভাবে জনপ্রিয়।

পান্তা ভাতের উপকারিতা-

১। হজমে সহায়ককারী-

পান্তা ভাত সারারাত ভিজিয়ে রাখার ফলে কার্বোহাইড্রেট ভেঙে দেয় এবং সহজেই হজম হয়। পান্তা ভাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে।

২। ওজন কমাতে-

পান্তা ভাত নিয়মিত খেলে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এটা কোলেস্টেরল-মুক্ত এবং লো-ক্যালোরি খাবার। তাই ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে এই পদ রাখাই যায়।

৩। আলসার কমাতে-

পান্তা খাওয়ার সেরা সময় হল বিকেল। কারণ এটা শরীরকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। এমনকী এটা বুক জ্বালা এবং আলসার থেকেও মুক্তি দেয়।

৪। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে-

পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচারাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।  এছাড়া ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। 

৫। তারুণ্য ধরে রাখতে-

নিয়মিত পান্তা খেলে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে, যা ত্বক টানটান রাখতে অর্থাৎ তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। রূপচর্চার জন্য বাইরের অনেককিছু না মেখে নিয়মিত পান্তা খেলেও চলবে।

পান্তা ভাত বানানোর পদ্ধতি-

একটা পাত্রে ভাত নিয়ে জল ঢেলে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে সমস্ত ভাত যেন জলে ডুবে থাকে। এরপরে সেটা চাপা দিয়ে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরদিন জল থেকে সব ভাত ছেঁকে নিয়ে রাখতে হবে আলাদা পাত্রে। এইবার তাতে সরষের তেল এবং স্বাদ মতো নুন মিশিয়ে দিতে হবে। এরপরে কাঁচালঙ্কা আর পেঁয়াজ দিয়ে খাওয়া শুরু করলেই হল। পান্তা ভাতের সঙ্গে আচারও দারুণ লাগে। একটু আলুভাজা আর মাছভাজা রাখলেও ব্যাপারটা জমে যাবে। বাংলাদেশে পান্তা ভাতের সঙ্গে ইলিশ মাছ ভাজা খাওয়ার চল  রয়েছে।

বিহারেও পান্তা ভাত খাওয়ার চল বিরাজমান।  বিহারিরা একে বলে বাসি ভাত। তারা শুকনো লঙ্কা ভাজা, পাঁপড় আর কাঁচা আমের চাটনির সঙ্গে পান্তা ভাত খান। ওড়িশায় এর নাম পাখালো। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোতে পেট ঠান্ডা রাখতে পান্তা ভাত খাওয়ার চল রয়েছে।

শরীরস্বাস্থ্য সংক্রান্ত খবর পড়তে দেখুন খবর অনলাইন

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান...

বাংলায় শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সোমবারই ঘোষণা কমিশনের — ১ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে বিএলও

নির্বাচন কমিশন সোমবার ঘোষণা করবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দিনক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু। ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও।

অস্ত্র-সহ আলফা (স্বাধীন)-এর সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার আরপিজি ও বিপুল গোলাবারুদ

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আবার ধরা পড়ল আলফা (স্বাধীন) সংগঠনের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার।...

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পের সমাজ ও সময়ের প্রতিফলন — আঠারোটি প্রবন্ধে বৈচিত্র্যে ভরপুর সংকলন

‘স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পে সমাজ ও সময়ের দ্বন্দ্ব’ সংকলনে আঠারোটি প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে স্বাধীনোত্তর বাংলার সমাজ, রাজনীতি ও মানুষের অন্তর্জগৎ। সম্পাদনায় ড. রামেন্দ্র দাস।

আরও পড়ুন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।

এক চিকিৎসকের আট বছরের লড়াইয়ে বড় জয়, ভুয়ো ওআরএস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল FSSAI, আসল চিনবেন কী করে?

হায়দরাবাদের শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবরঞ্জনী সন্তোষের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে বড় পদক্ষেপ নিল FSSAI। WHO-র নির্ধারিত মান না মেনে ‘ORS’ নামে বিক্রি হওয়া পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। শিশুদের জন্য বিপজ্জনক এই মিষ্টি পানীয় নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর আইনি লড়াই প্রায় এক দশক আগে।