অটোইমিউন রোগ রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসে রোগে আক্রান্ত হলে সাইনোভায়াল জয়েন্ট ফুলে যায়। তীব্র যন্ত্রণা ও ব্যথা হয়। হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্কের ওপরও এর প্রভাব পড়ে। নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালের ল্যাব ফর মলিকুলার রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড জেনেটিক্স, অ্যানাটমি বিভাগ ও রিউমাটোলজির করা যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত যোগব্যায়াম করার ফলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগীর শরীরে ফোলা ভাব কমে। সেলুলার ড্যামেজ ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেসও কমে।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, যোগব্যায়াম করার ফলে সাইটোসিন প্রোটিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। ফিলগুড হরমোন এন্ডোর্ফিন-এর নিঃসরণ বাড়ে আর স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল-এর নিঃসরণ কমে। এতে ফোলা ভাবের যে চক্র তার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পাশাপাশি, যোগব্যায়াম করলে মলিকিউলার স্তরে কোষের বয়স বৃদ্ধির হার কমে। যোগব্যায়াম করার ফলে যন্ত্রণা কমে। জয়েন্টের ফ্লেক্সিবিলিটি বাড়ে। রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হয় বলে দাবি এইমসের গবেষকদের।
অন্যদিকে, পৃথক আরেকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসে আক্রান্ত মহিলারা যদি কমপক্ষে ৩০ মিনিটও হাঁটাচলা করেন তা হলেও তাঁদের রক্তচাপ কমে। রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের রোগীদের শারীরিক যন্ত্রণা, মানসিক উদ্বেগের কারণে রক্তচাপ বাড়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। রক্তচাপ বেশি হলেই হার্টের অসুখের সমস্যা দেখা যায়।
ব্রাজিলের সাও পাওলো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায় দেখা গিয়েছে নিয়মিত শারীরিক কসরতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের রোগীদের।
আরও পড়ুন
স্মার্টফোন, টিভি, ল্যাপটপের স্ক্রিনে বুঁদ ভারতের শিশুরা, কোন কোন অসুখ হতে পারে?