বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে লিভারের অসুখ। বিশেষত ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (Fatty Liver Disease) এখন নীরব মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২৪% প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকেরই নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (NAFLD) রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ১.৫% থেকে ৬.৫% রোগীর ক্ষেত্রে এটি গুরুতর রূপ নেয়, যা পরিচিত NASH নামে।
ভারতের খ্যাতনামা গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট ড. প্রদীপ ভেকারিয়া সতর্ক করে বলেছেন, “ফ্যাটি লিভার রোগটি ক্রমশ মহামারীর আকার ধারণ করছে। এটি নীরবে লিভার সিরোসিসে পরিণত হতে পারে, যদি অবহেলা করা হয়।”
কোন লক্ষণটি আগে দেখা যায়?
ড. ভেকারিয়ার মতে, ফ্যাটি লিভারের একটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু প্রাথমিক সতর্ক সংকেত হলো পেডাল ইডিমা (Pedal Edema) — অর্থাৎ পায়ের ফোলাভাব।
অনেকেই ভেবে নেন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটার কারণে পা ফুলেছে। কিন্তু যদি বারবার এই সমস্যা হয়, তবে তা লিভারের সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
কীভাবে বুঝবেন পেডাল ইডিমা হয়েছে?
- গোড়ালির উপরে বা পায়ের নিচের দিকে আঙুল দিয়ে কয়েক সেকেন্ড জোরে চাপুন।
- যদি আঙুল সরানোর পরও গর্তের মতো দাগ (পিট) থেকে যায়, তবে তা পিটিং ইডিমা নির্দেশ করে।
- এটি হতে পারে লিভার ড্যামেজের প্রাথমিক লক্ষণ।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ড. ভেকারিয়া বলেন, “পায়ের ফোলাভাবকে অবহেলা করবেন না। উপসর্গ বাড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন না। সময়মতো পরীক্ষা ও চিকিৎসা শুরু করলেই লিভার বাঁচানো সম্ভব। আজকের অবহেলা আগামী দিনে বড় সংকট হয়ে উঠতে পারে।”
লিভারের অসুখ প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায়শই চুপচাপ বাড়ে। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, সঠিক ডায়েট, ব্যায়াম এবং সতর্ক থাকা জরুরি। পায়ের ফোলাভাবকে হালকাভাবে না দেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগেই শরীরে বাসা বাঁধে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, দাবি গবেষণায়