Homeশরীরস্বাস্থ্যআল্ট্রা প্রসেসড খাবার কম খেলেও বাড়ছে বিপদ! শুক্রাণুর ক্ষতি, কমাচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা,...

আল্ট্রা প্রসেসড খাবার কম খেলেও বাড়ছে বিপদ! শুক্রাণুর ক্ষতি, কমাচ্ছে প্রজনন ক্ষমতা, চাঞ্চল্যকর তথ্য গবেষণায়

প্রকাশিত

আজকাল ফাস্টফুড, ভাজাভুজি খাবার, ঠান্ডা পানীয়, পেস্ট্রি, সোডা, কৃত্রিম ফলের জ্যুস, চিপস, লজেন্স, প্রসেস করা শস্যদানা, পাঁউরুটি, প্রসেস করা মাংসর দৌলতে সকলেই কমবেশি আল্ট্রা প্রসেস করা বা প্রক্রিয়াজাত খাবারের সঙ্গে পরিচিত। এসব খাবার খেয়ে প্রায় সকলেই অভ্যস্ত।

এসব প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে ডায়াবেটিস, স্থুলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির মতো নানান রকম লাইফস্টাইল ডিজিজ হয় বলে চিকিৎসকরা সতর্ক করেন। স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার কারণে অনেকে এসব খাবার কম খান বা খাওয়া একেবারে কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে ভাবেন কম খেলে তেমন কিছু ক্ষতি নেই।

কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা রিপোর্ট বলছে, এসব আল্ট্রা প্রসেস করা খাবার কম খেলেও বিপদ থেকে রেহাই নেই। বিশেষ করে পুরুষদের শরীরে নানান অসুখ ডেকে আনছে। অতিরিক্ত স্থুলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তো রয়েছে তার পাশাপাশি কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের করা গবেষণায় দেখা গেছে, অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে স্পার্ম বা শুক্রাণুর ক্ষতি হচ্ছে। পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। হরমোনের নিঃসরণে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

Cell Metabolism নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণাপত্র। আল্ট্রা প্রসেস করা খাবার বেশি পরিমাণে খেলে স্থুলতা, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ,মানসিক সমস্যা এমনকি ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এমন তথ্য এর আগে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। এবার প্রথম বার প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে শুক্রাণু ও পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতার ওপর গবেষণা চালানো হল।

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, আল্ট্রা প্রসেস করা খাবার শুধু মেদই বৃদ্ধি করে না বিপাকক্রিয়া, প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয় এমনকি সার্বিক ভাবে শরীরের অনেক ক্ষতি করে। ক্রনিক রোগের আশঙ্কা বাড়ে।

২০-৩৫ বছর বয়সি ৪৩ জন সম্পূর্ণ শারীরিক ভাবে সুস্থ সক্ষম পুরুষের ওপর গবেষণা চালানো হয়। ৩টি দলে ভাগ করা হয়। একদলকে ৩ সপ্তাহ আল্ট্রা প্রসেস করা খাবার খেতে বলা হয়। একটা দলকে অতিরিক্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার ও আরেকটি দলকে স্বাভাবিক খাবার খেতে বলা হয়। ৩ সপ্তাহ পর দেখা যায়, আল্ট্রা প্রসেস করা খাবার যাঁরা খান তাঁদের নানান রকম শারীরিক সমস্যা দেখা গেছে। অতিরিক্ত ক্যালরিসমৃদ্ধ খাবার খেয়ে ওজন বেড়েছে। স্বাভাবিক খাবার খাওয়া ব্যক্তিরা সুস্থ রয়েছেন।

আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের কাছে বাড়ি? হার্ট ফেলিয়র, স্ট্রোক-সহ একাধিক ঝুঁকি, জানাল গবেষণা

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

শাহবাজের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে গুজরাতকে চাপে ফেলল বাংলা

কলকাতা: পাঁচ মাসের বিরতির পর চোটমুক্ত হয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করলেন বাংলার শাহবাজ আহমেদ। ডান...

বাংলায় শুরু হচ্ছে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সোমবারই ঘোষণা কমিশনের — ১ নভেম্বর থেকে ঘরে ঘরে বিএলও

নির্বাচন কমিশন সোমবার ঘোষণা করবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর দিনক্ষণ। পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু। ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি যাবেন বিএলও।

অস্ত্র-সহ আলফা (স্বাধীন)-এর সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার আরপিজি ও বিপুল গোলাবারুদ

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: নিরাপত্তাবাহিনীর হাতে আবার ধরা পড়ল আলফা (স্বাধীন) সংগঠনের এক দুর্ধর্ষ ক্যাডার।...

স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পের সমাজ ও সময়ের প্রতিফলন — আঠারোটি প্রবন্ধে বৈচিত্র্যে ভরপুর সংকলন

‘স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলা ছোটগল্পে সমাজ ও সময়ের দ্বন্দ্ব’ সংকলনে আঠারোটি প্রবন্ধের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে স্বাধীনোত্তর বাংলার সমাজ, রাজনীতি ও মানুষের অন্তর্জগৎ। সম্পাদনায় ড. রামেন্দ্র দাস।

আরও পড়ুন

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল খাবেন কেন? জানুন আশ্চর্য উপকারিতা

জিরে ভেজানো জল শুধু হজম নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণ, ঘুমের সমস্যা ও অ্যাসিডিটিও দূর করে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে জল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিতভাবে।

শহুরে ভারতীয়রা মিষ্টিপ্রেমী হয়ে উঠেছে! সমীক্ষায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

সমীক্ষায় জানা গেছে, ভারতের ৫১% শহুরে পরিবার মাসে অন্তত ৩-৪ বার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি খান। তবে ৫৫% নাগরিক এখন পছন্দ করছেন কম চিনি দেওয়া মিষ্টি। ডায়াবেটিস ও কৃত্রিম শর্করার ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক বিশেষজ্ঞরা।

এক চিকিৎসকের আট বছরের লড়াইয়ে বড় জয়, ভুয়ো ওআরএস-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল FSSAI, আসল চিনবেন কী করে?

হায়দরাবাদের শিশু-রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শিবরঞ্জনী সন্তোষের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলে বড় পদক্ষেপ নিল FSSAI। WHO-র নির্ধারিত মান না মেনে ‘ORS’ নামে বিক্রি হওয়া পানীয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। শিশুদের জন্য বিপজ্জনক এই মিষ্টি পানীয় নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর আইনি লড়াই প্রায় এক দশক আগে।