Home জীবন যেমন সম্পর্ক বাড়ছে ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর সংখ্যা, যার অন্যতম কারণ ‘এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম’

বাড়ছে ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর সংখ্যা, যার অন্যতম কারণ ‘এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম’

0

হিন্দু ধর্মে বিয়েকে সাত জন্মের বন্ধন বলে মনে করা হয়। কিন্তু এখন তো অনেকের ক্ষেত্রে বিয়ে এক জন্মও টিকছে না। সাত জন্ম তো অনেক দূর অস্ত। শুধু কমবয়সিরাই নয়, বিয়ে ভাঙছে মধ্যবয়সি, এমনকি প্রবীণ নাগরিকদেরও। মিউচুয়াল কনসেন্টে আলাদা হচ্ছেন দম্পতিরা। ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সিদের বিবাহবিচ্ছেদ হলে তাকে বলা হয় ‘গ্রে ডিভোর্স’। আর এই ‘গ্রে ডিভোর্স’-এর অন্যতম কারণ হল ‘এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম’।

কী এই ‘এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম’?

‘এমপ্টি নেস্ট সিনড্রোম’ হল এমন এক পরিস্থিতি যেখানে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে অনত্র থাকে আর বাবা-মা তাঁদের নেস্ট বা বাসা বা বাড়িতে একা থাকতে বাধ্য হন। একাকিত্ব গ্রাস করছে তাঁদের। মন-মেজাজ বিগড়ে যায়। মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। মানসিক উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় থাকেন তাঁরা।

ছেলেমেয়ে দূরে থাকার কারণে প্রবীণ দম্পতিদের মধ্যে অনেক সময় মতান্তর হয়। অনেক ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব থাকে। এবং তা এ সময় বিরাট আকার ধারণ করে। জীবনের দায়দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাঁরা ক্লান্ত। নিজেদের আশা-আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণ থাকে। অনেক সময় পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে বিয়ের সম্পর্ক ফিকে হয়ে যায়। প্রবীণ বয়সে রোজগার ভালো না থাকলেও নিজেদের মধ্যে অশান্তি হয়। আবার একটা বয়সের পর আর্থিক ভাবে মজবুত অবস্থায় থাকলে নিজের মত অনুযায়ী বাঁচার ইচ্ছে জাগে অনেকের।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version