খবর অনলাইনডেস্ক: ক্ষমতায় আসার পর থেকে নানা রকম ভাবে বাংলাদেশকে কট্টরপন্থী হওয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ক্ষমতাসীন মহম্মদ ইউনূস সরকার। তারই এক পদক্ষেপ হিসেবে আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছিল সরকারের অন্দরে। কিন্তু আপাতত সেই পথে হাঁটল না ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
সে দেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল আইন সংশোধনের খসড়া প্রস্তাব থেকে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়টি বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ বুধবার এ খবর জানিয়েছে। ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে খসড়াটি অনুমোদিত হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের এই অবস্থান বদলের ফলে আওয়ামী লিগ জাতীয় সংসদের আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেতে পারে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে গত ১৮ নভেম্বর সরকারের তরফে আইন সংশোধনের যে খসড়া জমা দেওয়া হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল, কোনো রাজনৈতিক দল বা সংগঠন খুন, গুম, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের স্বীকৃতি স্থগিত বা বাতিল করা যাবে।
কিন্তু বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে বলেন, ‘‘আদালত যদি মনে করে, তা হলে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য কোনো রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করতে পারবে। কিন্তু সরাসরি কোনো পদক্ষেপ করা যাবে না।’’
ক্ষমতায় আসার পর থেকে নানা রকম ভাবে বাংলাদেশকে উদারপন্থী থেকে কট্টরপন্থী হওয়ার দিকে ইউনূস সরকার নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যেই আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি উঠেছে। তার মধ্যেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল কারিগর আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার দাবিও উঠেছিল। তবে আপাতত সেই রকম পদক্ষেপ ইউনূস সরকার করছে না।