খবর অনলাইনডেস্ক: আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করা, বা তাদের ভোটে লড়তে না দেওয়ার কথা যাঁরা বলছেন, বিএনপি তাঁদের সঙ্গে একমত নয়। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের এমনই বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। পাশাপাশি দেশে দ্রুত নির্বাচন করার দাবিও জানিয়ে এসেছেন তিনি।
সম্প্রতি ইউনূসের আহ্বানে তাঁর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক করেন। তারপরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের জানান, “প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন, শীঘ্র নির্বাচনই অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার। আমরা তাঁর কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট একটি পথরেখা চেয়েছি।”
বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, সংস্কার নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা কম। বিএনপি চায় যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। তার জন্য নির্বাচন কমিশন, বিচার বিভাগ এবং প্রশাসনে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন, সেটাই ইউনূস সরকার করুক। সংস্কারের কাজে ইউনূস সরকারের এক্তিয়ার ও বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ফখরুল। তিনি বলেন, “সংস্কার করার মূল দায়িত্ব কিন্তু হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। একটা আন্দোলন করে ছেলেরা আপনাকে বসিয়ে দিয়েছে আর আপনি সব দায়িত্ব পেয়ে গিয়েছেন, আমি সেটা মনে করি না।”
বিএনপির মহাসচিব সম্প্রতি সংবাদপত্রের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন, শক্তিশালী দল হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে সরকার গঠনের একটা চক্রান্ত তলে তলে হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরাজনীতিকরণের একটা ধারণা মানুষের মধ্যে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনই গণতান্ত্রিক পথ। সেটা রাজনৈতিক দলগুলিই পারে। বিএনপি নির্বাচনের পরে একটি জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। একমাত্র আওয়ামী লিগ ছাড়া আর সকলকে এই সরকারে তাঁরা আহ্বান জানাবেন। জামাতও চাইলে আসতে পারে। আওয়ামী লিগ বিরোধীপক্ষ হতে পারে।
এই প্রসঙ্গেই আওয়ামী লিগকে নিষিদ্ধ করার বিরোধিতা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লিগ নির্বাচনে লড়লে তাঁদের আপত্তি নেই। এই স্বৈরশাসনের পরে মানুষ তাঁদের জয়ী করলে করবে। কিন্তু যেসব নেতার বিরুদ্ধে হত্যা বা গণহত্যার অভিযোগ আছে, তাঁদের বিচার হতেই হবে। ততদিন তাঁদের নির্বাচনে যোগ দেওয়া যাবে না। অন্যরা লড়তে পারেন।