Home খবর বাংলাদেশ যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপহার দেওয়া মুকুট চুরি, বাংলাদেশের উদ্দেশে কড়া...

যশোরেশ্বরী মন্দির থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপহার দেওয়া মুকুট চুরি, বাংলাদেশের উদ্দেশে কড়া বার্তা ভারতের

0

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপহার দেওয়া যশোরেশ্বরী মন্দিরের কালীর মুকুট চুরির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন। বাংলাদেশকে কড়া বার্তায় মুকুট উদ্ধারের জন্য তদন্তের দাবি জানিয়েছে ভারত।

হাই কমিশন এক্স (আগের টুইটার) পোস্টে জানায়, “আমরা যশোরেশ্বরী কালী মন্দির থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপহার দেওয়া মুকুট চুরির খবর পেয়েছি। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং বাংলাদেশের সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি তদন্ত করে চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে।”

চুরির ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে ২.৩০-এর মধ্যে। মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ মুখোপাধ্যায় পুজো শেষ করে যাওয়ার পর। মন্দিরের সাফাইকর্মীরা দেখতে পান দেবীর মস্তক থেকে মুকুটটি গায়েব। শ্যামনগর থানার ইনস্পেক্টর তৈজুল ইসলাম জানিয়েছেন, “মন্দিরের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে চোর শনাক্ত করতে।”

চুরি যাওয়া মুকুটটি রুপোর তৈরি এবং সোনার প্রলেপযুক্ত, যার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম।

প্রসঙ্গত, যশোরেশ্বরী মন্দিরটি হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম। ২০২১ সালের ২৭ মার্চ বাংলাদেশ সফরে যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী দেবীর মস্তকে মুকুটটি পরিয়ে দেন।

যশোরেশ্বরী কালী মন্দির একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। মন্দিরটি সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামে অবস্থিত। বিশ্বাস করা হয়, দ্বাদশ শতাব্দীর শেষভাগে একজন ব্রাহ্মণ এই মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। তিনি যশোরেশ্বরী পীঠের জন্য ১০০ দরজা বিশিষ্ট একটি মন্দির তৈরি করেন। পরে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে লক্ষ্মণ সেন এই মন্দিরটি সংস্কার করেন এবং ষোড়শ শতাব্দীতে রাজা প্রতাপাদিত্য মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন।

হিন্দু পুরাণ অনুসারে, ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে ঈশ্বরীপুরের এই মন্দিরটি সেই স্থান যেখানে দেবী সতীর তালু ও পদতল পড়েছিল এবং দেবী এখানে যশোরেশ্বরী রূপে পূজিত হন। দেবীর সঙ্গেই এখানে ভগবান শিব চন্ডা রূপে অবস্থান করেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version