Home খবর বিদেশ বড় ধাক্কা ট্রুডোর, কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ

বড় ধাক্কা ট্রুডোর, কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ

বড় ধাক্কা ট্রুডোর, কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ
বড় ধাক্কা ট্রুডোর, কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ

ওটোয়া: যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক হুমকির ইস্যুতে মতবিরোধের জেরে কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড সোমবার আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করেছেন।

ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগ প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। এটি ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন লিবারেল সরকারের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য মতবিরোধ এবং আগামী নির্বাচনে তাঁর ক্ষমতা ধরে রাখা আরও কঠিন হতে পারে।

ফ্রিল্যান্ড তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “আমাদের দেশ আজ এক গভীর চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে।” তিনি ট্রাম্পের পরিকল্পিত শুল্ক হুমকিকে ‘অত্যন্ত গুরুতর’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, কানাডার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সরকারের আরও বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, ট্রুডো ফ্রিল্যান্ডকে মন্ত্রিসভায় অন্য পদে বদল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করে তিনি পদত্যাগের পথ বেছে নেন।

২০১৩ সালে সংসদে নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে ট্রুডোর মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে যোগ দেন প্রাক্তন সাংবাদিক ফ্রিল্যান্ড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

কানাডার অর্থনৈতিক সংকট

কানাডার প্রধান রপ্তানি গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে দেশটির ৭৫ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যায়। ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি কানাডার অর্থনীতির উপর গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফ্রিল্যান্ড।

এদিকে, লিবারেল সরকারের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় বিরোধী নেতা পিয়েরে পয়লিভ্রে ইতিমধ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে আস্থা ভোট আনতে তিনবার চেষ্টা চালিয়েছেন। বর্তমানে ট্রুডো পয়লিভ্রের চেয়ে ২০ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছেন।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগে কানাডার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ডালহৌসি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরি টার্নবুল বলেছেন, “এটি ট্রুডোর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাহীনতার ইঙ্গিত এবং তার পক্ষে ক্ষমতায় থাকা কঠিন হয়ে উঠবে।”

এদিকে বিরোধী দলের ডেপুটি নেতা অ্যান্ড্রু শিয়ার বলেন, “সরকার সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে। এমনকি ফ্রিল্যান্ডের মতো শীর্ষ নেতাও ট্রুডোর প্রতি আস্থা হারিয়েছেন।”

ফ্রিল্যান্ড জানিয়েছেন, তিনি ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত হতে চলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তবে তাঁর এই পদত্যাগ দেশটির রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও খবর পড়ুন এখানে

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version