মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম শিলদা-কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জেলে বন্দি। তবে বন্দিত্বের সঙ্গে চলছিল তাঁর পিএইচডি-র পড়াশোনা। কিন্তু বর্তমানে মায়ের অসুস্থতার কারণে তাঁকে প্যারোল দিয়ে দেখা করার অনুমতি না দেওয়ায় তিনি গত ২৫ নভেম্বর থেকে লাগাতার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশাসনের অনড় মনোভাবের কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে এবং পড়াশোনাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
অর্ণবের পরিবারের দাবি, তাঁর ৭৬ বছর বয়সী মা কল্যাণী দাম একা থাকেন এবং শারীরিক অবস্থাও বেশ খারাপ। তাই তাঁকে একদিনের জন্য প্যারোল দেওয়ার আবেদন করেছিলেন অর্ণব। কিন্তু সোনারপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অর্ণব প্যারোলে মুক্তি পেলে এলাকায় অশান্তির সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অবস্থায় মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর অর্ণবের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতার আইজি কারার দফতরে লিখিত আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগ, জেল প্রশাসন অর্ণবের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে এবং পিএইচডি পড়ার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে।
অর্ণবের অনশনে ইতিমধ্যেই ওজন তিন কেজি কমে গিয়েছে। প্রথম দিকে সামান্য চা-বিস্কুট খেলেও পরে পুরোপুরি অনশনে চলে যান তিনি। এই অবস্থায় তাঁর পড়াশোনা কার্যত বন্ধ।
এদিকে, কারা দফতরের ডিআইজি অজয় ঠাকুর জানিয়েছেন, সোনারপুর থানার আপত্তির কারণেই প্যারোল দেওয়া হয়নি। এর আগে মধ্যরাতে পুলিশ তদন্তের নামে অর্ণবের মায়ের বাড়িতে হানা দেয়, যা নিয়ে এপিডিআর ইতিমধ্যে অভিযোগ জানিয়েছে।
অর্ণবের মা কল্যাণী দাম প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছেন, তাঁর অসুস্থতার কথা মাথায় রেখে যেন ছেলেকে একদিনের জন্য দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।