ইজরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর প্রায় দেড় মাস পরে ২৪ পণবন্দিকে মুক্তি দিল হামাস। শুক্রবার থেকে একটি চুক্তির অধীনে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করেছে ইজরায়েল ও হামাস। সেই যুদ্ধবিরতির শর্ত হিসেবেই প্রথম ব্য়াচের এই ২৪ জনকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, জঙ্গি হামলার সময় বন্দি ১৩ জন ইজরায়েলি পণবন্দি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ফিরে এসেছেন। যেখানে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হওয়ার আগে তাঁদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে চার শিশু এবং ছয়জন বৃদ্ধা রয়েছেন।
পণবন্দিদের হস্তান্তর নিয়ে লাগাতার কথা চালাচালি করছিল ইজরায়েল, হামাস, কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর একটি চুক্তির অধীনে ইজরায়েল তিনগুণ বেশি প্যালেস্তেনীয় বন্দিকে মুক্ত করতে রাজি হয়। প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার নিশ্চিত করেছে যে হামাস শুক্রবার মোট ২৪ জন পণবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং ইজরাইল তার কারাগার থেকে ৩৯ জন নারী ও শিশুকে মুক্তি দিয়েছে।
প্রায় দেড় মাস ধরে চলছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় এবং বহু ইজরায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। এর পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু।
এর আগে বুধবার, এক ইজরায়েলি আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় যুদ্ধবিরতি শুরু হবে, যার পরে গাজায় বন্দি ২৩০ জনেরও বেশি লোকের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ জন মহিলা ও শিশুকে মুক্তি দেওয়া হবে। তবে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে বুধবার শেষের দিকে সেই প্রস্তুতিগুলি স্থগিত করা হয়েছিল। শুক্রবার সেই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে।
এর আগে ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর প্রকাশিত ছবিগুলিতে দেখা গিয়েছিল মুক্তিপ্রাপ্ত পণবন্দিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। বসার আসনে হেডফোন,খেলনা এবং টেডি বিয়ারের ছবিও ধরা পড়েছিল। চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালীন, কমপক্ষে ৫০ জন পণবন্দিকে মুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিময়ে আনুমানিক ১৯০ প্যালেস্তেনীয়কে হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আজ শুরু ইজরায়েল-হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি, ধাপে ধাপে মুক্তি পণবন্দিদের