শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৭টায় শুরু রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ২০০ আসনের বিধানসভায় প্রায় দু’হাজারের কাছাকাছি প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবেন মরুরাজ্যের ৫ কোটির বেশি ভোটদাতা। ফল জানা যাবে আগামী ৩ ডিসেম্বর।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজস্থানের ১৯৯টি আসনে ১ হাজার ৮৬২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যেখানে ভোটার সংখ্যা ৫ কোটি ২৫ লক্ষ ৩৮ হাজার ১০৫ জন। এর মধ্যে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৩৪ জন, এবং নতুন ভোটারের রয়েছে ২২ লক্ষ ৬১ হাজার ৮ জন।
কর্মকর্তারা জানান, সুষ্ঠু, নিরবচ্ছিন্ন ও অবাধ ভোটের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রবীণ গুপ্তা জানিয়েছেন, রাজ্যের ৩৬ হাজার ১০১টি জায়গায় মোট ৫১ হাজার ৫০৭টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় ১০ হাজার ৫০১টি এবং গ্রামীণ এলাকায় ৪১ হাজার ৬৬টি ভোট কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মোট ২৬ হাজার ৩৯৩টি ভোটকেন্দ্রে লাইভ ওয়েবকাস্টিং করা হচ্ছে। জেলা পর্যায়ের কন্ট্রোল রুম থেকে এসব ভোট কেন্দ্র মনিটরিং করা হচ্ছে। রাজ্য জুড়ে, ৬৫ হাজার ২৭৭টি ব্যালট ইউনিট, ৬২ হাজার ৩৭২টি কন্ট্রোল ইউনিট এবং ৬৭ হাজার ৫৬০টি ভিভিপ্যাট মেশিন ভোটের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভোট প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনার জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭০ হাজারেরও বেশি রাজস্থান পুলিশ কর্মী, ১৮ হাজার রাজস্থান হোম গার্ড, ২ হাজার রাজস্থান বর্ডার হোম গার্ড এবং অন্য রাজ্যের পুলিশ কর্মী (উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের ১৫ হাজার হোম গার্ড) এবং আরএসি-র ১২০টি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক প্রবীণ গুপ্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ভোটগ্রহণকে সামনে রেখে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় শাসক দল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ১৯৮ আসনে, যেখানে ১৯৯টিতে প্রার্থী দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। কংগ্রেসের উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত,, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোবিন্দ সিংহ দোতাসরা প্রমুখ। বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া, অলিম্পিক পদকজয়ী প্রাক্তন শুটার তথা জয়পুর গ্রামীণ কেন্দ্রের সাংসদ এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর প্রমুখ।
এ ছাড়াও, সিপিআই(এম), রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টি, ভারত আদিবাসী পার্টি, ভারতীয় উপজাতি পার্টি, আম আদমি পার্টি, এআইএমআইএম-সহ অনেক দলও রাজ্যে ভোটের ময়দানে রয়েছে। বিজেপি এবং কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধরা তো রয়েইছেন, তাঁদের সংখ্যাও ৪০-এর বেশি।