ফের ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর উপর হিজবুল্লার ড্রোন হামলা। ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রবিবার হিজবুল্লার একটি ড্রোন হামলায় তাদের চারজন সৈন্য নিহত হয়েছে। হামলাটি ঘটে হাইফার নিকটবর্তী বিনিয়ামিনায় একটি সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে। গত ২৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইজরায়েলের এই এলাকায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়ে চলেছে।
রবিবারের এই হামলার ফলে ৬০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে, যার মধ্যে গুরুতর আহত ব্যক্তির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এর আগে, গাজা থেকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রবিবার ইজরায়েলি বিমান হামলায় ১৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে পুরো পরিবারও রয়েছে।
ইজরায়েল এবং হিজবুল্লার মধ্যে এই সংঘর্ষের আবহে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষকরা অভিযোগ করেছে যে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের একটি অবস্থানে “জোরপূর্বক” প্রবেশ করেছে। ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই শান্তিরক্ষা বাহিনীকে ওই এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
হিজবুল্লা রবিবার ঘোষণা করেছে যে তারা বিনিয়ামিনায় “আক্রমণাত্মক ড্রোনের একটি স্কোয়াড্রন” চালু করেছে। এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ইজরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া জানানো।
এদিকে, ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা হিজবুল্লার উপর বিভিন্ন রকম ভাবে হামলা চালাচ্ছে, যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে রকেট উৎক্ষেপণ এবং অস্ত্রাগার ধ্বংস করা। জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইজরায়েল দক্ষিণ লেবাননে তাদের হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, এবং লেবাননের সেনাবাহিনীও এই সংঘর্ষে অংশ নিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া বাড়ছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে আলোচনা করেছেন। এমন পরিস্থিতি কী ভাবে উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা, সেই সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।