গাজা সিটির আল-শিফা হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলি বিমান হামলায় রবিবার নিহত হলেন আল জাজিরার সাংবাদিক আনাস আল-শরিফ (২৮)। নিহত আরও চারজনের মধ্যে ছিলেন সহকর্মী সংবাদদাতা মোহাম্মদ কুরেইকেহ এবং ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম জাহের, মোয়েমেন আলিওয়া ও মোহাম্মদ নুফাল।
মৃত্যুর আগে, আল-শরীফ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ বার্তা লিখে রেখেছিলেন, যা মৃত্যুর পর তাঁর এক বন্ধু পোস্ট করেন। বার্তাটিকে তিনি নিজের “শেষ ইচ্ছাপত্র” হিসেবে উল্লেখ করে লেখেন, “যদি এই লেখা আপনাদের কাছে পৌঁছয়, বুঝবেন— ইসরায়েল আমাকে হত্যা করে আমার কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করেছে।”
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে বেড়ে ওঠা আল-শরীফ জানান, জীবনে বহুবার বেদনা ও ক্ষতি সহ্য করেও তিনি কখনও সত্য প্রকাশে পিছপা হননি। তিনি লেখেন, “আমাদের শিশু ও নারীদের মৃতদেহ দেখেও যাঁদের হৃদয় নড়েনি, সেই নীরব দর্শক ও হত্যার সমর্থকদের ঈশ্বর সাক্ষী থাকুন।”
هذه وصيّتي، ورسالتي الأخيرة.
— أنس الشريف Anas Al-Sharif (@AnasAlSharif0) August 10, 2025
إن وصلَتكم كلماتي هذه، فاعلموا أن إسرائيل قد نجحت في قتلي وإسكات صوتي.
بداية السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
يعلم الله أنني بذلت كل ما أملك من جهدٍ وقوة، لأكون سندًا وصوتًا لأبناء شعبي، مذ فتحت عيني على الحياة في أزقّة وحارات مخيّم جباليا للاجئين،…
নিজের পরিবার— কন্যা, পুত্র, স্ত্রী ও মায়ের যত্ন নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে আল-শরীফ বলেন, “যদি আমি মারা যাই, জানবেন আমি আমার নীতিতে অটল থেকেছি। গাজাকে ভুলে যাবেন না, আমাকেও আপনার প্রার্থনায় স্মরণ করবেন।”
তিনি গাজার মানুষদের প্রতি আহ্বান জানান, সীমাবদ্ধতা ও সীমানা অতিক্রম করে মুক্তির সেতু হয়ে উঠতে, যাতে মর্যাদা ও স্বাধীনতার সূর্য আবার তাদের দখলকৃত মাতৃভূমিতে উদিত হয়।
Al Jazeera anchor fights back TEARS as he reports on death of his colleagues
— RT (@RT_com) August 10, 2025
Anas al-Sharif killed by Israel, along with network’s ENTIRE team in Gaza City https://t.co/nHw3hhtNV2 pic.twitter.com/vKLJzVBsP0
ইসরায়েলি সেনা পরে জানায়, আল-শরীফ আসলে হামাসের এক “সন্ত্রাসী সেল”-এর প্রধান ছিলেন এবং রকেট হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ছিলেন। তাদের দাবি, গাজা থেকে উদ্ধার করা নথিতে তাঁর হামাস-যোগের প্রমাণ রয়েছে। তবে ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সংঘ এই হামলাকে “রক্তাক্ত হত্যাকাণ্ড” বলে নিন্দা করেছে।