Home খবর বিদেশ মন্দিরের হামলার ঘটনায় সাসপেন্ড পুলিশকর্মী, দিল্লির টানা চাপের মুখে পদক্ষেপ কানাডার

মন্দিরের হামলার ঘটনায় সাসপেন্ড পুলিশকর্মী, দিল্লির টানা চাপের মুখে পদক্ষেপ কানাডার

0

খবর অনলাইনডেস্ক: কানাডার ব্র্যাম্পটনে মন্দিরের বাইরে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভ এবং হামলায় সে দেশের এক পুলিশকর্মীও শামিল ছিলেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে পদক্ষেপ করেছে কানাডা সরকার। হরিন্দর সোহি নামে ওই পুলিশকর্মীকে ইতিমধ্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিনি কানা়ডার পিল অঞ্চলে সার্জেন্ট পদে কর্মরত ছিলেন। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন পিল অঞ্চলের পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড চিন।

গত রবিবার ব্র্যাম্পটনে ‘হিন্দু সভা মন্দির’-এ পুজো দিতে গিয়েছিলেন বেশ কয়েক জন ভক্ত। ওই সময় মন্দিরের সামনে ভারতে ১৯৮৪ সালের শিখ-বিরোধী হিংসার প্রতিবাদে অবস্থানে বসেছিলেন খলিস্তানপন্থী কয়েক জন। তাঁদের হাতে ছিল খলিস্তানপন্থী সংগঠনের পতাকা, লাঠি। অভিযোগ, ভক্তেরা মন্দিরে ঢোকার চেষ্টা করলে তাঁদের উপরে চড়াও হয় খলিস্তানপন্থী জনতা।

ব্র্যাম্পটন মন্দিরের বাইরে খলিস্তানপন্থীদের বিক্ষোভের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই ভিডিওয় দেখা গিয়েছে হরিন্দরকে। আশপাশের জনতা ভারতবিরোধী স্লোগান তুলছিলেন। তার মাঝে খলিস্তানপন্থী পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে পুলিশকর্মীকে।

ওই ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কানাডার সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘সিবিসি’-কে পুলিশের মুখপাত্র রিচার্ড জানিয়েছেন, ওই ভিডিওটি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিক্ষোভের সময়ে তিনি তখন কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন না। কানাডার সম্প্রদায় সুরক্ষা ও পুলিশ আইন অনুসারে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সে দিন ওই মন্দির চত্বরে ঠিক কী ঘটেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র।

প্রসঙ্গত, খলিস্তানিপন্থী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরের হত্যার পর থেকেই কানাডা এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের ‘ভূমিকা’ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন ট্রুডো। যদিও ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের আবহেই কানাডায় দীপাবলি পালন করতে দেখা গিয়েছে ট্রুডোকে।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version