থাইল্যান্ড ও ক্যাম্বোডিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা চরমে। প্রাণঘাতী সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪৬ জন। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় পর্যটকদের সতর্ক থাকতে এবং নির্দিষ্ট কিছু এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিল থাইল্যান্ডের ভারতীয় দূতাবাস।
বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সংঘর্ষে ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান ও কামান ব্যবহার করা হয়েছে বলে থাই প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন বেসামরিক নাগরিক ও একজন থাই সেনা। প্রায় এক লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যেই এলাকা ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন। চারটি সীমান্তবর্তী প্রদেশে প্রায় ৩০০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।
পরিস্থিতির জেরে থাইল্যান্ডের পর্যটন কর্তৃপক্ষ (TAT) সাতটি প্রদেশ— উবোন রাতচাথানি, সুরিন, সিসাকেট, বুরিরাম, সা কাও, চান্থাবুরি ও ত্রাত— এ ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত পর্যটন কেন্দ্রগুলির মধ্যে রয়েছে ফু চং-না ইয়ই জাতীয় উদ্যান, প্রাসাত তা মুয়েন থম, ও খাও ফ্রা উইহান জাতীয় উদ্যান।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, “ভোর ৬টার পর থেকেই গুলি ছোঁড়া শুরু হয়েছে। আমরা ভয় পেয়ে পরিবার নিয়ে স্থানীয় বৌদ্ধ মঠে আশ্রয় নিয়েছি।”
অবস্থা আরও জটিল হয় বৃহস্পতিবার, যখন থাইল্যান্ড ক্যাম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে ও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে নমনীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ফনম পেন। সংঘর্ষের কারণ এক দশকের পুরনো সীমান্ত বিবাদ। সম্প্রতি মে মাসে এক ক্যাম্বোডিয়ান সেনার মৃত্যুকে কেন্দ্র করেই নতুন করে উত্তেজনার সূত্রপাত।
আন্তর্জাতিক মহল, including জাতিসংঘ, আমেরিকা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চিন, যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও আসিয়ান চেয়ার আনোয়ার ইব্রাহিম শান্তির ডাক দিলেও শুক্রবার সকাল থেকেই ফের গুলির লড়াই শুরু হয়েছে।