প্রায় মাসখানেক ধরে চলছে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ। ইজরায়েলি সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে বিধ্বস্ত প্যালেস্তেনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এ দিকে, ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ত্রাণ সরাবরাহ অথবা আটকে পড়া লোকদের সরিয়ে নেওয়ার সুবিধার্থে যুদ্ধে সংক্ষিপ্ত বিরতিতে আপত্তি নেই। তবে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও আবারও যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে ইজরায়েল।
ইজরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে একটি জঙ্গি ঘাঁটি দখল করেছে এবং ছিটমহলের উত্তরে ঘনবসতিপূর্ণ গাজা শহর ঘেরাও করার পর ভূগর্ভস্থ টানেলের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সশস্ত্র বাহিনীকে আক্রমণ করার জন্যও প্রস্তুত ছিল। এক মাস আগে দক্ষিণ ইজরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে ইজরাইল ওই এলাকায় বোমাবর্ষণ করেছে। সেই সময় হামাস যোদ্ধারা ১,৪০০ জনকে হত্যা এবং ২৪০ জনকে পণবন্দি করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেছেন, “আমরা ইতিমধ্যে অল্প সময়ের জন্য আক্রমণ থামিয়ে দিয়েছি। আমরা পরিস্থিতির তদন্ত করব এবং পণবন্দিদের জন্য মানবিক সাহায্য, আন্দোলনেরও সুবিধা দেব। তবে আমি মনে করি না যে কোনো সাধারণ যুদ্ধবিরতি হবে। “
নেতানিয়াহু আরও বলেছেন, সংঘাত শেষ হলে তিনি গাজার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবেন। তিনি বলেন, “অনির্দিষ্টকালের জন্য ইজরায়েলের গাজায় সামগ্রিক নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে, কারণ আমরা দেখেছি যখন আমাদের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয় তখন কী হয়”।
গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালায় এবং বহু ইজ়রায়েলি নাগরিককে পণবন্দি করে নিয়ে যায়। এর পরেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন নেতানিয়াহু। এখন ত্রাণসামগ্রী পাঠানো, পণবন্দিদের উদ্ধার করে দেশে ফেরানোর জন্য কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও দু’ঘণ্টার সাময়িক বিরতিতে আপত্তি ইজরায়েলের। কিন্তু সাধারণ ভাবে যুদ্ধবিরতি এখনই হচ্ছে না।
এরই মধ্যে ইরানের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি সোমবার ফোনে কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। ইজরায়েল-হামাস চলমান সংঘাতের মধ্যে তিনি গাজায় ইজরায়েলি কার্যকলাপ বন্ধ করতে “নিজের সমস্ত ক্ষমতা” ব্যবহার করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন ভারতকে।
আরও পড়ুন: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইডি হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল, শুনে কী বললেন মন্ত্রী