গাজায় হামাস এবং লেবাননে হেজবুল্লার বিরুদ্ধে চলমান অভিযানের মধ্যে মঙ্গলবার ইরানকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়েছে ইজেরায়েলের সামরিক বাহিনী।
ইজরায়েলি সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি জানিয়েছেন, “ইরান যদি আবারও ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, তাহলে তাদের দিকে এমন আঘাত হানা হবে, যা আগে কখনও হয়নি। সেই হামলা ঠেকানো বা সামলানোর ক্ষমতা নেই ইরানের”।
ইরানের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ চালাতে প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে হালেভি বলেন, “যেসব জায়গা এবার আঘাতের বাইরে রেখেছি, প্রয়োজনে সেগুলোকেও নিশানা করব।”
সম্প্রতি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাবে ইজরায়েলের যুদ্ধবিমান ইরানের সামরিক কেন্দ্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র লক্ষ্য করে আক্রমণ চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইজরায়েল ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন সিস্টেম বিকল করে দিয়েছে। তিনি বলেন হামলায় ইরানের প্রতিরক্ষা এবং ক্ষেপণাস্ত্র বানানোর সক্ষমতার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ইজরায়েলের হামলার প্রভাবকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। তারা বলেছেন বেশীরভাগ ক্ষেপণাস্ত্রকে রুখে দেওয়া হয়েছে। আর যেগুলো ঠেকানো যায়নি সেগুলো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সামান্য ক্ষতি করেছে।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার হেজবুল্লা জানায় যে তাদের উপপ্রধান নাঈম কাসেমকে দলনেতা হাসান নাসরাল্লার উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে, যিনি গত মাসে ইজরায়েলি হামলায় নিহত হন।
অন্যদিকে, ইরানের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে ইজরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে এটিকে “আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন” বলে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আক্রমণটি একটি সার্বভৌম দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরুদ্ধে হুমকি বা বলপ্রয়োগের মূলনীতির পরিপন্থী।
এদিকে, হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী মিশর গাজায় দুই দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, যাতে চার বন্দির মুক্তি সম্ভব হয়।