ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড): বামপন্থী নির্দল প্রার্থী ক্যাথরিন কনোলি আয়ারল্যান্ডের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চলেছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মধ্য-ডানপন্থী ফাইন গেইল দলের প্রার্থী হিদার হামফ্রিজ ভোট গণনা শেষ হওয়ার আগেই পরাজয় স্বীকার করে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
শনিবার ভোটগণনা চলাকালীনই হামফ্রিজ নিজের পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমি ক্যাথরিন কনোলিকে আয়ারল্যান্ডের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই। তিনি আমাদের সবার প্রেসিডেন্ট হবেন, আমারও প্রেসিডেন্ট হবেন। আমি তাঁর জন্য আন্তরিক শুভকামনা জানাই।”
দেশের ৪৩টি নির্বাচনী এলাকায় হাতে হাতে ভোট গণনা চলছে এবং শনিবার রাতেই (স্থানীয় সময়) চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। শুক্রবার এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৬৪ বছর বয়সি প্রতিদ্বন্দ্বী হামফ্রিজের তুলনায় ৬৮ বছর বয়সি কনোলির জনপ্রিয়তা যে অনেক বেশি, তা নির্বাচন-পূর্ববর্তী জনমত সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে।
ফাইন গেইল দলের নেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিসও কনোলিকে অভিনন্দন জানিয়ে ‘এক্স’ (পূর্বতন টুইটার) হ্যান্ডলে লিখেছেন, “তিনি পুরো দেশের প্রেসিডেন্ট হবেন। তাঁর সাফল্যই আয়ারল্যান্ডের সাফল্য।”
কনোলি, যিনি ২০১৬ সাল থেকে স্বাধীন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, একজন সাবেক আইনজীবী। তিনি গাজায় ইজরায়েলের যুদ্ধের তীব্র সমালোচক এবং তাঁর এই অবস্থান তাঁকে তরুণ ভোটারদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করেছে। সামাজিক ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের প্রতি অঙ্গীকারও তাঁর প্রচারণার মূল প্রতিশ্রুতি ছিল। তাঁর প্রার্থীপদ সমর্থন করেছে বিভিন্ন বামঘেঁষা রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে সিন ফেইন, লেবার পার্টি এবং সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস।
প্রধানমন্ত্রী মিখায়েল মার্টিনের নেতৃত্বাধীন ফিয়ানা ফেইল দলের প্রার্থী জিম গ্যাভিন তিন সপ্তাহ আগে এক আর্থিক বিতর্কের কারণে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করলে নির্বাচনী লড়াই কনোলি ও হামফ্রিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে।
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মূলত একটি সাংবিধানিক এবং প্রতীকী পদ, যিনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এবং বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের আতিথ্য দেন। তবে এই পদে নীতিনির্ধারণ বা আইন প্রণয়নের ক্ষমতা নেই।
কনোলি আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিত হলে তিনি হবেন আয়ারল্যান্ডের দশম প্রেসিডেন্ট এবং তৃতীয় নারী প্রেসিডেন্ট, যিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্সের উত্তরসূরি হবেন। হিগিন্স ২০১১ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ইতিমধ্যে দুটি মেয়াদ পূর্ণ করেছেন।
আরও পড়ুন
ভারত থাকবে দ্রুততম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির তালিকায়, আইএমএফ-এর পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃদ্ধির হার ৬.৬%


