শনিবার রাতে পাকিস্তানে খতম হল লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ কমান্ডার ফৈজল নদিম ওরফে আবু কাতাল। ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)-র মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের তালিকায় ছিল তার নাম। ২৬/১১ মুম্বাই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল সে।
ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল আবু কাতাল। ওই ঘটনায় সাতজন নিরীহ সাধারণ নাগরিক, যার মধ্যে দুই শিশুও ছিল, প্রাণ হারায়।
এনআইএ-র চার্জশিটে নাম ছিল আবু কাতালের
এই হামলার ঘটনায় NIA দুটি মামলায় (RC-01 & 02/2023/NIA/JMU) চার্জশিট দায়ের করেছিল। আবু কাতালের পাশাপাশি আরও দুই পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবা হ্যান্ডলার সৈফুল্লাহ ওরফে সাজিদ জুট এবং মোহাম্মদ কাসিমের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তদন্তে উঠে আসে যে, এই তিনজন পাকিস্তান থেকে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিদের ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়ে বিশেষত সংখ্যালঘুদের নিশানা করতে নির্দেশ দিত। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করেও হামলার পরিকল্পনা করেছিল তারা।
পাকিস্তানে মৃত্যু ঘিরে প্রশ্ন
পাকিস্তানে আবু কাতালের মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির মতে, ভিতরের গোষ্ঠীসংঘর্ষে বা পাক সেনার গোপন অভিযানে তার মৃত্যু হতে পারে। তবে, লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতাদের একের পর এক খতম হওয়া পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ঘটনার পর ভারতে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক রয়েছে, কারণ লস্কর-ই-তৈবা প্রতিশোধ নিতে নতুন হামলার পরিকল্পনা করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।