চিনের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব বলে বুধবার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প জানান, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন ইতিমধ্যেই একটি “দারুণ বাণিজ্য চুক্তি” করেছিল এবং এখন নতুন চুক্তির সম্ভাবনাও উজ্জ্বল।
চিনের প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার বেজিংয়ের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উভয় দেশের উচিত পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে বাণিজ্য সম্পর্কের সমস্যা সমাধান করা।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেন, “বাণিজ্য ও শুল্ক যুদ্ধের কোনো বিজয়ী নেই, তা শুধুমাত্র বিশ্বব্যাপী অর্থনীতির ক্ষতি করে।”
এদিকে, চিনের বাণিজ্য মন্ত্রকও আমেরিকার শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। বেজিং সতর্ক করে বলেছে,
“যুক্তরাষ্ট্র যেন প্রতিবারই শুল্ককে চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে এবং বিশ্ব বাণিজ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি না করে।”
নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
চিনের পাশাপাশি কানাডা, মেক্সিকো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপরও নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই ট্রাম্প চিন থেকে আমদানি করা সব পণ্যের উপর ১০শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া, তিনি ২৫শতাংশ শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করছেন গাড়ি আমদানি, ওষুধ ও চিপ প্রযুক্তি, কাঠ আমদানির উপর। যা কার্যকর হতে পারে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে
এর আগে তিনি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা সব পণ্যের উপর ২৫শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছিলেন, তবে কার্যকরের আগেই এক মাসের জন্য স্থগিত করেন।
চিনের পাল্টা ব্যবস্থা
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় চিনও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। যেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য, ১৫শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (LNG) উপর। ১০শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে তেল, কৃষি যন্ত্রপাতি এবং যানবাহনের উপর।