রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বড় পদক্ষেপ নিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং ইউরোপের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি ঘোষণা করেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে মুখোমুখি বৈঠকের আয়োজন করবেন।
ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এই উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শিগগিরই দুই প্রেসিডেন্টের বৈঠকের পর একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন তিনি। নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যাল-এ ট্রাম্প লিখেছেন, “এটি একটি বড় পদক্ষেপ। প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এটাই প্রাথমিক প্রচেষ্টা।”
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, সেক্রেটারি অফ স্টেট মার্কো রুবিও এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন বলে জানান ট্রাম্প।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস এবং ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটও আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। মের্ৎস ও রুট নিশ্চিত করেছেন, পুতিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রাজি হয়েছেন, যদিও সুনির্দিষ্ট তারিখ ও স্থান এখনও ঘোষণা করা হয়নি।
জেলেনস্কি বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান, “আমাদের আলোচনা খুবই ফলপ্রসূ হয়েছে। আমি পুতিনের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে প্রস্তুত।” তবে মস্কো এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। রুশ সংবাদ সংস্থা টাস জানিয়েছে, পুতিন ও ট্রাম্প উভয়েই ইউক্রেন-রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পক্ষে মত দিয়েছেন।
বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তা বিষয়টিও বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে আসে। যদিও ঠিক কী ধরনের নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট করেনি মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউরোপীয় দেশগুলো হবে প্রথম প্রতিরক্ষার স্তম্ভ, তবে যুক্তরাষ্ট্রও সমন্বয় ও সাহায্যে যুক্ত থাকবে।
জেলেনস্কি আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী এক সপ্তাহ থেকে দশ দিনের মধ্যে এই নিরাপত্তা নিশ্চয়তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের তিন দফা উদ্বেগ মেটানোর আশ্বাস চিনের, বৈঠকে জানালেন বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই