Home খবর বিদেশ পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

পহেলগাঁও হামলায় জড়িত ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করল আমেরিকা

পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তইবার শ্যাডো গোষ্ঠী ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’-কে (TRF) আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছিল এই সংগঠন।

Pahalgam attack
পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন

পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা (LeT)-র ছদ্ম সংগঠন দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট (TRF)-কে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার মার্কিন বিদেশ দফতর TRF-কে বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংস্থা বা Foreign Terrorist Organization (FTO) এবং Specially Designated Global Terrorist (SDGT) ঘোষণা করেছে।

এই ঘোষণার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর একে ভারত-আমেরিকা সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার “একটি শক্তিশালী স্বীকৃতি” বলে উল্লেখ করেন। তিনি ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার)-এ লেখেন, “TRF, যা লস্কর-ই-তইবার ছদ্ম সংগঠন, তাকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন হিসাবে ঘোষণা করার জন্য মার্কো রুবিও এবং মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট-কে ধন্যবাদ। TRF-ই ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার দায় নিয়েছিল। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা। #OpSindoor”

পহেলগাঁও হামলা

২২ এপ্রিল ২০২৫, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন অসামরিক নাগরিক। ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর এটিই ছিল ভারতে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।

মার্কিন বিদেশ দফতর জানায়, “TRF, যা লস্কর-ই-তইবার একটি ছায়া সংগঠন, পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে। এছাড়াও ২০২৪ সালে TRF ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর উপর একাধিক হামলার দায় নিয়েছে।”

TRF-কে FTO ঘোষণার ফলে সংগঠনটিকে অর্থসাহায্য, প্রশিক্ষণ, পরামর্শ, কিংবা সহায়তা করা মার্কিন আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “TRF, যা লস্কর-ই-তইবার ছদ্মবেশী সংগঠন, বহুদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত। পহেলগাঁও-র নারকীয় হামলার জন্য দায়ী সংগঠনটিকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা একটি সময়োচিত ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী সমন্বিত লড়াই ও জঙ্গি পরিকাঠামো ধ্বংসে ভারত বরাবরই সহযোগিতার উপর জোর দিয়ে এসেছে। TRF-কে নিষিদ্ধ করা ভারত-আমেরিকা যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী সহযোগিতার প্রতিফলন।”

ট্রাম্প প্রশাসনের অবস্থান

মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, TRF-কে নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। তারা জানায়, “এই পদক্ষেপ জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায়, সন্ত্রাস দমনে এবং পহেলগাঁও হামলার বিচার নিশ্চিত করতে ট্রাম্পের বার্তার প্রতিফলন।”

আরও পড়ুন: ‘অনুপ্রবেশ নয়, রক্ষা হোক বাংলার সংস্কৃতি ও গর্ব’, ছাব্বিশে বিজেপির সুর দূর্গাপুরের মঞ্চ থেকে বেঁধে দিলেন মোদী

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version