আরজি কর হাসপাতালে ঢুকে যুবতী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তকে জেরা করার সময় তিনি বলেছেন, ‘‘ফাঁসি দিলে দিন।’’ তবে তাঁর মধ্যে এখনও কোনও অনুতাপবোধ দেখা যায়নি বলেই সূত্রে খবর।
এদিকে শনিবার তাঁকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। এদিন অভিযুক্তের পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়াননি।
অভিযুক্তের পরিচয় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে জানা গিয়েছে। তাঁর মেজাজ এখনও উদ্ধতই। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁকে শুক্রবার রাতে আটক করা হয় এবং শনিবার সকালে গ্রেফতার করা হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ার কারণে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকতে ও বেরোতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি।
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফির ভিডিয়ো পাওয়া গেছে, যা তাঁর মানসিক বিকৃতির সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে ঘটনার আগে অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় হাসপাতালে প্রবেশ করেছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া হেডফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।
মৃত চিকিৎসকের দেহের উপর চালানো নৃশংস অত্যাচারের চিহ্ন দেখে তদন্তকারীরা হতবাক। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চোখের নিচে রক্তপাত এবং দেহের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যদি কেউ পুলিশের প্রতি আস্থা না রাখেন, তাহলে অন্য কোনও এজেন্সির দ্বারস্থ হতে পারেন। এদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ চলছে এবং সর্বত্রই ‘বিচার চাই’ স্লোগান উঠছে।