দুর্গাপুজোর আগেই বাংলার বাজারে পৌঁছে গেল বাংলাদেশের ইলিশ। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ৫০ টন ইলিশবাহী ১০টি ট্রাক পেট্রাপোল সীমান্ত পেরোয়। বুধবার সকাল থেকে কলকাতার পাইকারি বাজার এবং সন্ধ্যার পর খুচরো বাজারে বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটির কারণে কিছুটা দেরি হয়। ফলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বাজারে মিলবে ইলিশ।
পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, প্রথম দফায় ৮টি ট্রাকে ৩৭,৪৬০ কেজি ইলিশ আসে। কাগজপত্রে দেরির কারণে রাত গভীর পর্যন্ত আটকে থাকলেও ভোর ৩টার মধ্যে কাস্টমস ক্লিয়ার হয় ট্রাকগুলি।
কলকাতার লেক মার্কেট-সহ বিভিন্ন বাজারে ইলিশ আসার খবরেই ইতিমধ্যেই উৎসাহ দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। মাছ ব্যবসায়ী অমর দাস জানান, আগাম বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। “বাংলাদেশি ইলিশের চাহিদা সবসময়ই বেশি। অনেকেই অগ্রিম অর্ডার দিয়ে রেখেছেন,” তিনি বলেন।
তবে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করছেন, এত বড় কনসাইনমেন্ট সামলানোও চ্যালেঞ্জের। ৫ অক্টোবরের মধ্যে মোট ১,২০০ টন ইলিশ আমদানির চুক্তি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের সম্পাদক তথা ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সইয়দ আনোয়ার মকসুদ জানান, মঙ্গলবার-বুধবার যে বড় লট এসেছে, তা আসলে গত তিন দিনের স্টক। বৃহস্পতিবার থেকে ভলিউম কিছুটা কমবে কারণ বাংলাদেশের নদীতে মাছ ধরা আশানুরূপ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, “যতদিন পাওয়া যায়, ততদিনই উপভোগ করুন। আমার মনে হয় না ৫০০ টনের বেশি ইলিশ আসবে। তবে আশাকরি যে মাছ আসবে, তার মান ভালো হবে আর ক্রেতাদের আগ্রহ ধরে রাখবে।”
মূল্য নিয়েও প্রাথমিক আন্দাজ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ পাইকারি বাজারে কেজি প্রতি ১,৫০০–১,৭০০ টাকায় পাওয়া যেতে পারে। খুচরো বাজারে দাম পৌঁছবে কেজি প্রতি ১,৭০০–২,০০০ টাকায়।
দামের গেরোয় দুর্গাপুজোর আগে বাংলার ক্রেতাদের কাছে এই ইলিশই কি আদৌ আনন্দের সঙ্গী হতে পারবে?
আরও পড়ুন: বিদ্যাসাগর সেন্ট্রালের পুজোয় অভিনব থিম: ‘জীবনের মূল রঙ — এক বিন্দু জল’