কলকাতা: ঢাকুরিয়া তরুণ মহলের উদ্যোগে দ্বিতীয় ঢাকুরিয়া চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হল রবিবার। তিন দিনব্যাপী এই চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছিল ৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার।
এ বারের চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছিল বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিংহ ও রাজ কপূর এবং প্রখ্যাত সংগীতকার সলিল চৌধুরীর উদ্দেশে। উল্লেখ্য, গত বছরে অক্টোবরে তপন সিংহের এবং ডিসেম্বরে রাজ কপূরের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হল। আর চলতি ২০২৫-এর নভেম্বরে সলিল চৌধুরীর জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হবে।

তপন সিংহ, সলিল চৌধুরী এবং রাজ কপূরকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
চলচ্চিত্র উৎসবের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কমলেশ্বর মুখার্জি, অরিন্দম শীল, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্ঘ্যকমল মিত্র, কল্যাণী মণ্ডল, প্রবুদ্ধ ব্যানার্জি, সুদেষ্ণা রায়, বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী, স্থানীয় কাউন্সিলর মধুচ্ছন্দা দেব প্রমুখ।
উৎসবের প্রথম দিনে তপন সিনহাকে নিয়ে রাজা সেনের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সলিল চৌধুরীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন কল্যাণ সেন বরাট। তিনি সংগীতও সংগীত পরিবেশন করেন। ক্যালকাটা কয়্যারও সংগীত পরিবেশন করে। ওই দিন তপন সিংহের ‘গল্প হলেও সত্যি’ দেখানো হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি বসেছিল আলোচনাসভা। বিষয় ছিল – চলচ্চিত্র উৎসব কি সাধারণ দর্শককে দূরে সরিয়ে দেয়? আলোচনায় যোগ দেন ঊর্ভি মুখোপাধ্যায়, অর্ঘ্যকমল মিত্র, বৈজয়ন্ত চক্রবর্তী এবং সুদেষ্ণা রায়। সঞ্চালনা করেন অমিতাভ নাগ। সে দিন প্রদর্শিত হয় তপন সিংহের আরও দুটো ছবি – ‘আতঙ্ক’ এবং ‘ঝিন্দের বন্দি’।

৮ ফেব্রুয়ারি বসেছিল আলোচনাসভা।
৯ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষ দিনে কলকাতা শহরের সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হলের মালিকদের সম্মাননা জানানোর ব্যবস্থা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন বসুশ্রী হলের বর্তমান কর্ণধার এবং প্রাচী সিনেমা হলের প্রতিনিধি। ওই দিন দেখানো হয় রাজ কপূর অভিনীত ‘জাগতে রহো’ এবং তপন সিংহের ‘আপনজন’।
চলচ্চিত্র উৎসবে তপন সিংহ, সলিল চৌধুরী এবং রাজ কপূরকে নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
ছবি: রাজীব বসু।