কলকাতা: মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ প্রতিবাদে বুধবার রাজ্য জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ ডাকল বিজেপি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সাধারণ ধর্মঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দেওয়ার জন্য রাজ্যবাসীর কাছে অনুরোধ করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
নবান্ন অভিযানের আয়োজক ‘ছাত্র সমাজ’-এর পাশে সরাসরি দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাংলা বন্ধের কথা ঘোষণা করলেন সুকান্তবাবু। তিনি জানান, আগামী পরশু থেকে তাঁরা ধর্না শুরু করবেন। আগামী ৩০ আগস্ট বিজেপি মহিলা মোর্চার ডাকে পথে নামার জন্য মহিলাদের প্রতি আবেদন জানান তিনি।
এদিকে বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে আবেদন জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে স্পষ্ট বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলার জনগণ যেন বন্ধ পালন না করেন। তাঁরা যেন জনজীবন স্বাভাবিক রাখেন। বুধবার বিভিন্ন দফতরে নিয়মমাফিক হাজিরা দেওয়ার জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি নির্দেশ জারি করেছে নবান্ন। বেসরকারি পরিবহণ সংগঠনগুলিকে বুধবার যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বলা হয়েছে। সমস্ত পরিববহণের চলাচল স্বাভাবিক রাখার রাখার জন্য আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে ‘ছাত্র’দের বিক্ষোভে লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস, জলকামান। মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করা হয়। ‘নবান্ন’ ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে। শহরের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয় গার্ডরেল এবং কন্টেনার। সাঁতরাগাছি, হাওড়া সেতুতে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন মিছিলকারীরা। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে, ‘‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।’’ পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ জলকামান চালায়, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান বিক্ষোভকারীরা।
এই পরেই সরাসরি ‘ছাত্র সমাজ’-এর পাশে দাঁড়ায় রাজ্য বিজেপি। তারা নবান্ন অভিযানে ‘পুলিশি অত্যাচারের’ প্রতিবাদে বাংলা বন্ধের ডাক দেয়। বিজেপির ঘোষণার এই আধ ঘণ্টার মধ্যেই ‘নবান্ন’-এ সাংবাদিক বৈঠক করে সরকারি ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন
বৃষ্টি মাথায় করে বামেদের লালবাজার অভিযান, পুলিশি তলবে গেলেন মিনাক্ষী সহ ৭ নেতাকর্মী