খবরঅনলাইন ডেস্ক: মধ্যরাত পেরিয়ে গিয়েছে। জন্ম নিয়েছেন যিশু। ক্রিস্টমাস ইভ পেরিয়ে আমরা বড়দিনে প্রবেশ করেছি। আনন্দনগরী কলকাতার প্রতিটি গির্জায় গাওয়া হচ্ছে ক্রিস্টমাস ক্যারোল, বসেছে প্রার্থনাসভা। উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে মহানগরী কলকাতা।

মঙ্গলবার মধ্যরাতের কিছু আগে এমনই একটি প্রার্থনাসভায় হাজির ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বড়বাজারের ঐতিহ্যশালী পর্তুগিজ চার্চে যিশুকে প্রণাম জানিয়ে প্রার্থনাসভায় যোগ দেন মমতা।

বড়দিনে মহানগরীর মুখ্য আকর্ষণ পার্ক স্ট্রিটের আলোকসজ্জা। বড়দিনে শহরের আর কোনো পাড়া আলোয় সাজুক বা না-সাজুক পার্ক স্ট্রিট সাজবেই। আর সেই আলোকমালা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এখন পুবে মল্লিকবাজারের মোড় থেকে পশ্চিমে পার্ক স্ট্রিটের মোড় পর্যন্ত। মঙ্গলবার পার্ক স্টিট ঘুরে দেখলেন কলকাতা নগরপাল মনোজ বর্মা।

বড়দিন আসার কয়েক দিন আগে থেকেই ভিড় হচ্ছে পার্ক স্ট্রিটে। আর গত রবিবার থেকে তো পুরোদস্তুর জ্যাম। তাই পার্ক স্ট্রিটের আলো দেখতে সাধারণ মানুষের ভিড়ের জন্য গাড়ি চলাচল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

ইতিমধ্যে শিল্পীরাও নেমে পড়েছেন তাঁদের কাজে। সান্তার মডেল তৈরিতে ব্যস্ত তাঁরা। তাঁদের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। আর এই কাজে সিদ্ধহস্ত রামবাগানের শিল্পীরা।

বড়দিনে কলকাতার আর একটি বড়ো আকর্ষণ সেন্ট পল্স ক্যাথিড্র্যাল। আলোয় সেজেছে গথিক স্থাপত্যের অনবদ্য নিদর্শন ১৭৭ বছরের প্রাচীন এই অ্যাংলিকান চার্চ।

আর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ভিড় সেন্ট পল্স ক্যাথিড্র্যালের আঙিনায়। আনন্দে মেতেছে সবাই।

বড়দিনে কলকাতার আর একটি দ্রষ্টব্য বো ব্যারাক। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বো ব্যারাকে চলছিল কাউন্ট ডাউন। শিশু থেকে বয়স্ক, সবাই খুশির মেজাজে। আর কিছু ক্ষণ পরেই যে আসছে বড়দিন।