অজন্তা চৌধুরী
সন্ধে ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধে ৬টা – টানা ২৪ ঘণ্টা ধরে চলল নাট্যোৎসব। এমন অভিনব নাট্যোৎসব পৃথিবীর আর কোথাও হয়েছে বলে শোনা যায়নি।
এই অভিনব নাট্যোৎসবের আয়োজক ছিল কলকাতার মিউনাস নাট্যদল। উৎসব শুরু হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি সন্ধে ৬ টায় এবং শেষ হল পরের দিন ২৮ জানুয়ারি সন্ধে ৬ টায়। ২৪ বছর বয়স হল নাট্যদল মিউনাসের। তাদের উদ্যোগে টানা ২৪ ঘন্টার এই নাট্যোৎসবের এ বার ছিল নবম বর্ষ।
এ বছর মহিলা পরিচালক নির্মিত ২৫টি নাটক নিয়ে অনুষ্ঠিত হল মিউনাসের নাট্যোৎসব, যার সামগ্রিক পরিকল্পনা ও পরিচালনায় উৎসব দাস। নাট্যকার, যাঁদের নাটক অবলম্বন করে করা হয় নাট্য প্রযোজনা, তাঁরা সব সময় উপেক্ষিতই থেকে যান। প্রকাশ্যে তাঁদের নাম খুব কমই আসে। তাই এই নাট্যোৎসবে যে সমস্ত নাট্যকারদের নাটক মঞ্চস্থ হল তাঁদের সম্মাননা জ্ঞাপন করা হয় এই নাট্যোৎসব। ২৭ জানুয়ারি দুপুর ২.৩০টেয় তাঁদের সম্মাননা জানিয়ে তপন থিয়েটারে বসল নাট্যকারদের সঙ্গে আড্ডা। সঞ্চালনায় ছিলেন শুদ্ধসত্ত্ব ঘোষ।
মিউনাস নাট্যদলের কর্ণধার উৎসব দাসের কথায়, “এই নাট্যোৎসব ঠিক আর পাঁচটা নাট্যোৎসবের মতো নয়। আমাদের এই নাট্যদল ২৪ বছরের। একটা পুরো দিন যাতে আমরা থিয়েটারের সঙ্গে যাপন করতে পারি, তার জন্যই শুরু করা হয়েছিল টানা ২৪ ঘন্টা নাট্যোৎসব।”
কিন্তু এ ধরনের নাট্যোৎসবের ভাবনা কেন এল মাথায়? সে প্রসঙ্গে উৎসববাবু বলেন, “নাট্যদলগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ভাবনা থেকেই আমরা টানা ২৪ ঘন্টা নাট্যোৎসব শুরু করেছিলাম। ৩৬৫ দিনের মধ্যে অন্তত একদিন আমরা থিয়েটারকে ঘুমোতে দেব না এবং থিয়েটারের সঙ্গে আমরাও জেগে থাকব।”
উৎসববাবু বলেন, “মানুষজন এই উৎসবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এটাই আমাদের পরম প্রাপ্তি।”
আরও পড়ুন
সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার পরিষদ আয়োজিত আন্তর্জাতিক ইতিহাস উৎসবের সূচনা, চলবে সরস্বতী পুজো পর্যন্ত
চিত্রসাংবাদিকদের উদ্যোগে কলকাতায় চতুর্থ বর্ষ সরস্বতী পুজো ও চিত্রপ্রদর্শনী