বধির শিশুদের সুরক্ষা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এভারেডি ইন্ডাস্ট্রিজ। সম্প্রতি, অভিনেত্রী ও সমাজকর্মী ঋতাভরী চক্রবর্তী উদ্বোধন করলেন এভারেডির নতুন প্রোডাক্ট ‘সাইরেন টর্চ’ ।Ideal School for the Deaf-এ শিক্ষার্থীদের মাঝে এটির উন্মোচন করেন তিনি। এই বিশেষ উদ্যোগের লক্ষ্য হল বধির শিশুদের নিরাপত্তা বাড়িয়ে তাদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা এবং জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে সাহায্য করা।
বধির মানুষরা সাধারণত সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলাদা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, বিশেষ করে নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশের অভাব বোধ করে থাকেন। এই প্রেক্ষাপটে এভারেডির সাইরেন টর্চ একটি গেম-চেঞ্জিং পণ্য বলে মনে করা হচ্ছে, যা বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিপদজনক পরিস্থিতিতে ব্যবহারকারী সহজেই সাহায্যের জন্য সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এটি ১০০ ডেসিবেল শব্দ ক্ষমতা সম্পন্ন সাইরেন এবং উজ্জ্বল এলইডি টর্চের সমন্বয়ে তৈরি, যা বধির শিশুদের জন্য সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নতুন পথ তৈরি করবে।
ঋতাভরী চক্রবর্তী, যিনি ১৬ বছর বয়স থেকে Ideal School for the Deaf-এ ৮৪ জন শিশুর ‘পোষ্য অভিভাবকের’ দায়িত্ব পালন করছেন, এই বিশেষ অনুষ্ঠানে বলেন, “এই শিশুদের পোষ্য অভিভাবক হওয়া আমার জীবনের সবচেয়ে অনন্য অভিজ্ঞতা। আমি তাদের অসীম শক্তি ও প্রতিকূলতার মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা দেখে অনুপ্রাণিত। ‘সাইরেন টর্চ’ শুধুমাত্র একটি যন্ত্র নয়, যারা কথা বলতে পারে না, এটি তাদের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠবে। তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং স্বপ্ন দেখার শক্তি দেয়। এই উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।”
এভারেডি ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যাটারি ও ফ্ল্যাশলাইট বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অনির্বাণ ব্যানার্জি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো এমন পণ্য তৈরি করা, যা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মেটাতে পারে। ‘সাইরেন টর্চ’ তারই একটি উদাহরণ। ঋতাভরী চক্রবর্তীর সঙ্গে এই উদ্যোগে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই যে, সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বিশেষত যারা বধির ও অক্ষমতার শিকার, তাদের সুরক্ষার অধিকার রয়েছে। এই উদ্যোগে আমরা বধির শিশুদের কণ্ঠস্বর হতে চাই এবং তাদের সুরক্ষা ও ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চাই।”