কলকাতা: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই রাজনৈতিক বাকযুদ্ধে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর প্রসঙ্গ যখন মিঠুন চক্রবর্তী তখন তো রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হবেই। ফের আরও একবার মিঠুন চক্রবর্তী ইস্যুতে তোলবার রাজ্য রাজনীতি। মিঠুন প্রসঙ্গে বিস্ফোরক দাবি ফিরহাদের। যদিও তার পাল্টা দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারের প্রধান মুখ মিঠুন চক্রবর্তী। এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়েই বিস্ফোরক দাবি কলকাতার মেয়র তথা পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। তিনি দাবি করেন, ” মিঠুন চক্রবর্তী যোগাযোগ রাখছেন আমার সাথে যাতে মুখ্যমন্ত্রী না রেগে যান। মিঠুন দা তো নিজেই তৃণমূলের সঙ্গে গন্ডগোল করতে চান না। কিছু কারণে বিজেপিতে রয়েছেন তিনি। সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার কিন্তু তিনি নিজেই বলছেন যাতে তৃণমূল না রেগে যায় অর্থাৎ দিদি যাতে না রেগে যান সেই কারণেই মিঠুনদা আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।”
যদিও ফিরহাদের এই বিস্ফোরক দাবি প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছে কলকাতার মেয়র তথা পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। কলকাতার মেয়রকে কর্মচারী বলে শুভেন্দুর পালটা কটাক্ষ, ” তার কাছে কি প্রমাণ রয়েছে? শুধুমাত্র এসব কথা বলে প্রচারে থাকতে চাইছেন।”
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগেই ফিরহাদের বক্তব্যের উল্টো সুর শোনা গেছিল মিঠুন চক্রবর্তীর গলায়। মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেছিলেন, বহু তৃণমূল বিধায়ক অচিরে ভিড়তে পারে বিজেপিতে। যার কারণে তার সাথে বহু তৃণমূল বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। শুধু বিধায়ক নয়, যোগাযোগ রাখছেন তৃণমূল সাংসদরা। মিঠুন চক্রবর্তী বলেছিলেন, “২১ টা বেড়েছে। আমি কখনো ব্যাকআপ ছাড়া কথা বলি না সময় এলেই দেখতে পাবে কারা আমার সাথে যোগাযোগ রাখছে। তৃণমূলের সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত নন অনেকে ভালো লোকও রয়েছে শুধু এটুকুই হিন্টস দিলাম যারা ভালো তারা শান্ত সেদিকে নজর রাখুন। আর তারা যদি আসেন তাহলে এখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো রাস্তা থাকবে না। আর এখান থেকে কেউ যেতে চাইলে তাড়াতাড়ি যান। আমরাও মুক্ত হয়ে যাব। নিজেও কষ্ট পাবে না আমাদেরও কষ্ট দেবেনা।” তবে ব্যঙ্গাত্মকভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ করেছিলেন মিঠুন, তিনি বলেছিলেন, ” আমি কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট বড় ফলোয়ার। আমার রাজনৈতিক গুরু। উনি যা করেছেন আমিও তাই করেছি।”উনি যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন আমিও ছিলাম। তারপর উনি দশ বছর এনডিএর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমি এখন বিজেপিতে।”