কলকাতা: বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজভবনে হয়ে গেল রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠান। সরস্বতী পুজোর বিকেলে ছিল তাঁর ‘হাতেখড়ি’। এই অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই বাংলা ভাষায় পথচলা শুরু করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপহার হিসেবে রাজ্যপালের হাতে বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ এবং দ্বিতীয় ভাগ তুলে দিলেন তিনি। তাঁর সামনেই বাংলায় হাতেখড়ি হয় রাজ্যপালের। লালপাড় হলুদ শাড়ি পড়া খুদে হাতে ধরে শ্লেটে রাজ্যপালকে অ-আ লেখা শেখায়। তার পর রীতি মেনে স্বরবর্ণ-ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণও করেন রাজ্যপালও। গুরুদক্ষিণা হিসেবে খুদে মেয়েটির হাতে উপহার তুলে দেন রাজ্যপাল।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা মূলত স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ শিখি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বর্ণ পরিচয়ের প্রথম এবং দ্বিতীয় ভাগ থেকে। মাতৃভাষাকে সম্মান জানিয়ে এবং রাজ্যপালের শেখার সুবিধার জন্য এটা তাঁর হাতে তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের কাছে খুব গর্বের মুহূর্ত। মহাত্মা গান্ধীও বাংলা শিখেছিলেন। আমাদের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গাঁধীরও বাংলা ভাষার প্রতি আগ্রহ ছিল”।
রাজ্যপাল বলেন, “আমি বাংলা শিখব। বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি বাংলাকে ভালবাসি। আমি বাংলার মানুষকে ভালবাসি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস আমার নায়ক। জয় বাংলা, জয় হিন্দ”।
সরস্বতী পুজোয় এই বিশেষ অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকলেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী-সহ বিশিষ্টজনেরা। এ দিন রাজ্যপালের হাতেখড়ি অনুষ্ঠানে বিধানসভার অধ্যক্ষও হাজির ছিলেন। ছিলেন অজয় চক্রবর্তী, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, পূর্ণদাস বাউলের মতো শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতার মেয়র, পুলিশ কমিশনার। বিরোধী দলনেতা অনুষ্ঠানে না গেলেও, ছিলেন তথাগত রায়।
আরও পড়ুন: আচমকা যোগমায়াদেবী কলেজে মুখ্যমন্ত্রী, গাইলেন গান